সিপিআই প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার অপরাধে বাম সমর্থকদের পাড়ায় ঢোকার মুখে সরকারি প্রকল্পের জলের লাইন কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবারের ওই ঘটনার পরদিন বুধবার বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক বাসিন্দা। পুলিশও তদন্ত করে। কিন্তু, লাইন জোড়ার ক্ষেত্রে গড়িমসির অভিযোগ উঠছিল ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে। অবশেষে শনিবার বিকালে কাটা লাইন জোড়া দেওয়া হল। কিন্তু, এই গরমে পানীয় জলের লাইন জুড়তে এত দেরি করল কেন প্রশাসন, সেই প্রশ্নই এখন গ্রামের বাসিন্দাদের মুখে। দাঁতন ২ ব্লকের তুরকা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুসুমদা গ্রামের এই ঘটনা নিয়ে গ্রামে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে শাসক দল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
এই ব্লকেরই বাসিন্দা তৃণমূলের জেলা নেতা শৈবাল গিরি তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে লাইন জোড়া দিতে দেরি হওয়ার দায় প্রশাসনের ঘাড়েই চাপিয়েছেন। তিনি বলেন, “ভোট পরিস্থিতিতে এই কাজ করার সুযোগ ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের নেই। প্রশাসনেরই তা করার কথা। তাঁদের অধিকাংশই এলাকার ভোটের পরে ছুটিতে রয়েছেন।” সিপিএমের দাঁতন ২ জোনাল কমিটির সম্পাদক রতন দে বলেন, “শাসক দলের চাপেই প্রশাসন ওই সামান্য কাজ করতে দেরি করেছে। আমাদের ভোটারদের শিক্ষা দিতে চেয়ে ওই চাপ দিয়েছিল তৃণমূল।” যদিও বিডিও রুনু রায়ের বক্তব্যঃ বুধবার বিকেলের পরে ঘটনাটি নজরে আসে। বৃহস্পতিবার নববর্ষের ছুটি ছিল। তা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। খণ্ডরুই–হরিপুর প্রধান রাস্তার গভীর অংশ দিয়ে পাইপলাইন পাতা থাকায় কাজে সমস্যা হয়েছিল। মাটি খুঁড়ে পাইপলাইন জুড়তে গিয়ে সময় লেগেছে। পাইপ লাইনের ভিতর থেকে মাটি বালি বার করাও সময়সাপেক্ষ বিষয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy