ঘোর: রং বাহারে মজে খুদে। মেদিনীপুরে। ছবি: কিংশুক আইচ।
বাতাসে বসন্ত। উৎসবে আর তর সইছে না শহর মেদিনীপুরের। খাতায়-কলমে রবিবার দোল। তবে আজ, শনিবার থেকেই শুরু হচ্ছে রঙে-উৎসবে বসন্ত উদ্যাপন।
শনিবার শহরে সান্ধ্যফেরির আয়োজন করেছে মেদিনীপুরের বাংলা ব্যান্ড ‘পারিজাত’। অনুষ্ঠানের নাম ‘মেদিনীপুর বৈতালিক’। শহরের রবীন্দ্র নিলয়ের সামনে থেকে শুরু হবে শোভাযাত্রা। পরে তা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে ফিরবে রবীন্দ্র নিলয়েই। সেখানে হবে বসন্ত বন্দনা অনুষ্ঠান। পারিজাতের সদস্য স্বাগত মাইতি ও সুমন্ত সাহা বলছিলেন, “শান্তিনিকেতনের ধাঁচে এই আয়োজন। নাচে-গানে প্রাক্-হোলি উদ্যাপন করা হবে। শহরের সংস্কৃতিপ্রেমীরা এতে সামিল হবেন।’’ কাল, রবিবারও শহরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। মেদিনীপুর বসন্ত উত্সব কমিটির উদ্যোগে প্রতিবারের মতো বিদ্যাসাগর হলের মাঠে অনুষ্ঠান হবে। থাকবে নাচ-গান-কবিতা পাঠ। কেউ কেউ স্বরচিত কবিতা পাঠ করবেন। শহরের এই অনুষ্ঠানে আট থেকে আশি, সকলেই সামিল হয়। উদ্যোক্তাদের পক্ষে অলোকবরণ মাইতি বলছিলেন, “এই উত্সবে অনেকে আসেন। আনন্দ করেন। এটাই ভাল লাগে।’’
কচি পাতা জানান দিচ্ছে, বসন্ত সমাগত। কোকিলের কুহুতান, শিমূল-পলাশের রাঙা বরণেও সেই উৎসবের বার্তা। সেই উত্সবে মাততে দোলের সকালে ‘মেদিনীপুর ড্যান্সার্স ফোরাম’- এর উদ্যোগেও অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। মেদিনীপুর কলেজ ক্যাম্পাসে এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাসন্তী’। এখানেও থাকবে নাচ-গান, আবির খেলা। ফোরামের পক্ষে রাজনারায়ণ দত্ত বলছিলেন, “এই উত্সব আমাদের প্রাণের উত্সব। বছরভর বহু মানুষ এই দিনটার অপেক্ষায় থাকেন।”
রবিবার সন্ধ্যায় শহরে ‘হোলি মিলন সমারোহ’-এর আয়োজন করেছে ‘বজরং ব্যায়ামাগার’। পঞ্চুরচকে রবীন্দ্র মূর্তির কাছে এই অনুষ্ঠান হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy