চলছে ঘাটাল পলিটেকনিক কলেজের ভবন তৈরি। ছবি: কৌশিক সাঁতরা।
একই জেলা। সমস্যা আলাদা। পশ্চিম মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে পাঁচ বছর ধরে পড়ে রয়েছে আইটিআই কলেজ ভবন। সেখানে চালু করা যায়নি পাঠ্যক্রম। আবার ঘাটালে পলিটেকনিক কলেজে পাঠ্যক্রম চালু হচ্ছে এই শিক্ষাবর্ষেই। কিন্তু এখনও তৈরিই হয়নি কলেজ। ফলে পড়ুয়াদের ক্লাস করতে ছুটতে হবে কোলাঘাট
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে চালু হচ্ছে ঘাটাল পলিটেকনিক কলেজ। ঘাটাল শহের এই প্রথম সরাসরি সরকার নিয়ন্ত্রিত কোনও কলেজ। ঘাটাল সরকারি পলিটেকনিক কলেজের অধ্যক্ষ মানবব্রত ভট্টাচার্য বলেন, “কলেজ ভবনের কাজ এখনও চলছে। আপাতত কোলাঘাটে ক্লাস হবে। তবে আগামী বছর থেকে ছাত্রছাত্রীরা ঘাটালেই ক্লাস করতে পারবেন।” ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষ বলেন, ‘‘দ্রুত রাস্তার কাজ শুরু হবে। জল সংযোগের কাজও শুরু হয়েছে। মাস তিনেকের মধ্যেই রাস্তা-সহ অনান্য কাজ আমরা
করে দেব।”
দীঘর্দিনের দাবিকে মান্যতা দিয়ে বছর দু’য়েক আগে কলেজটির অনুমোদন দেয় কারিগরি শিক্ষা দফতর। অর্থ বরাদ্দও হয়। কিন্তু জমি পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে থমকে ছিল ভবন নির্মাণের কাজ। পরে ঘাটাল পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কোন্নগর মৌজায় সেচ দফতরের একটি পতিত জমি চিহ্নিত করে কারিগরি শিক্ষা দফতর। সেচ দফতরের কাছ থেকে পাঁচ একর জমি অধিগ্রহণের করে গত বছর শুরু হয়েছে কলেজ ভবন নির্মাণের কাজ। প্রায় আট কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হচ্ছে কলেজ। কিন্তু উদ্বোধনের আগেই শুরু হয়ে যাচ্ছে পাঠ্যক্রম।
সূত্রের খবর, ভবন নির্মাণের কাজ যেমন শেষ হয়নি, তেমনই কলেজে যাওয়ার রাস্তাও তৈরি হয়নি। পৌঁছায়নি বিদ্যুৎ, পানীয় জলের লাইনও। কিন্তু তার আগেই শুরু হয়ে যাচ্ছে ক্লাস। কারিগরি শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই ঘাটাল পলিটেকনিক কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। গত ৩০ জুন প্রথম পর্যায়ে ভর্তি শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়েও কাউন্সেলিং হবে। চলতি বর্ষে তিনটি বিভাগে ছাত্ররা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন— সিভিল, মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল। মোট ৩০০টি আসন। অধ্যক্ষ মানবব্রত ভট্টাচার্যের আশ্বাস, “আগামী শিক্ষাবর্ষে সমস্ত প্রক্রিয়া ঘাটালেই হবে। দ্বিতীয় সেমিস্টার থেকে ঘাটাল কলেজেই ক্লাস হবে।”
ঘাটাল কলেজের ক্লাস কোলাঘাটে হবে বিষয়টি জেনে হতাশ ঘাটাল মহকুম-সহ সংলগ্ন এলাকার পড়ুয়ারা। ঘাটাল ব্লকের রাধানগরের এক ছাত্র বলেন, “ঘাটালেই ক্লাস হবে ভেবে অনলাইনে আবেদন করেছিলাম। কোলাঘাটে ক্লাস করতে গেলে হস্টেলে থাকতে হবে। তাই ভর্তি হইনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy