প্রতীকী ছবি।
৩১ জুলাইয়ের মধ্যে গোটা দেশে ‘এক দেশ এক রেশন’ ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর জন্য ডিজিটাল রেশন কার্ডের সাথে গ্রাহকদের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক। গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই কাজ করার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে খাদ্য দফতর। অথচ এখনও অধিকাংশ জায়গায় ওই সংস্থার কর্মীদের দেখা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।ফলে কোভিড বিধি ভেঙে রেশন কার্ডের সাথে আধার নম্বর সংযুক্ত করাতে তথ্যমিত্র কেন্দ্রগুলিতে উপচে পড়ছে ভিড়। দিতে হচ্ছে টাকাও।
রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করতে ‘ওয়েবল’ নামে একটি সংস্থাকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণের নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য দফতর। ২৫ জুন খাদ্য দফতরের জারি করা নির্দেশিকায় ওই সংস্থার কর্মীরা ১ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন বলে বলা আছে। প্রথম দফায় যে সমস্ত পরিবারের কোনও সদস্য বাদ পড়বে তাদের জন্য ২২ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় সুযোগ রয়েছে। দ্বিতীয় দফাতেও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কার্ড সংযুক্তিকরণের নির্দেশ রয়েছে। দুই দফাতেও যারা বাকি থেকে যাবে তাদের জন্য ১ অগস্ট থেকে ১৪ অগস্ট পর্যন্ত পাড়ায় পাড়ায় শিবির করে পরিষেবা দেওয়া হবে। এরপরেও কোনও গ্রাহক বাদ থেকে গেলে ১৬ থেকে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত প্রতিটি পঞ্চায়েত ও পুর এলাকার ওয়ার্ড অফিসগুলিতে শিবির করা হবে। সেখানে কিছু বাদ থাকলে ১ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফের পাড়ায় পাড়ায় শিবির করার নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য দফতর। সমগ্র প্রক্রিয়া পরিচালনায় জেলাভিত্তিক একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করেছে ওয়েবল।
কিন্তু গ্রাহকদের অভিযোগ, অধিকাংশ জায়গায় এখনও দেখা মেলেনি ওয়েবলের কর্মীদের। এদিকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রেশন-আধার সংযুক্তিকরণ না হলে গ্রাহকদের রেশন দেওয়া হবে না বলে কোনও কোনও রেশন ডিলার জানিয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ। ফলে গ্রাহকেরা কোভিড বিধি না মেনেই ভিড় করছেন তথ্যমিত্র কেন্দ্রগুলিতে। এর জন্য কোথাও ৩০ টাকা কোথাও ৫০ টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এই বিষয়ে কৃষক সংগ্রাম পরিষদের সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, ‘‘সরকার বিনামূল্যে দুয়ারে দুয়ারে রেশন-আধার সংযুক্তির কথা বললেও বাস্তবে তা হচ্ছে না। গ্রাহকদের টাকা দিয়ে তা করতে হচ্ছে। খাদ্য দফতরের উচিত অবিলম্বে সরকারি নির্দেশকে বাস্তবায়িত করা।’’ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খাদ্য নিয়ামক সৈকত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার প্রতিনিধিরা গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি যাবেন। মাঝখানে সার্ভারের সমস্যা হয়েছিল। সেজন্যই হয়তো দেরি হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy