Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Corruption

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাই সার, ফের তোলাবাজিতে অভিযুক্ত পুলিশ

গোটা রাজ্যে ব্রয়লার মুরগির মাংসের চাহিদা যথেষ্ট রয়েছে। মাংসের চাহিদা মেটানোর জন্য বিভিন্ন সংস্থা কৃষকদের দিয়ে মুরগি প্রতিপালন করায়।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:০৫
Share: Save:

গত সপ্তাহে বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা তুলতে পারবে না পুলিশ। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পরিচয়পত্র প্রদানের কথাও ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অথচ তার পরেও পুলিশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা তুলছে বলে অভিযোগ করল ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের তরফে ই-মেল করে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে অভিযোগ জানানো হয়েছে। শুধু মুখের কথা নয়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ওপর পুলিশি জুলুম বন্ধ করতে সরকারের কাছে কড়া পদক্ষেপের দাবি করেছে ওই সংগঠন।

গোটা রাজ্যে ব্রয়লার মুরগির মাংসের চাহিদা যথেষ্ট রয়েছে। মাংসের চাহিদা মেটানোর জন্য বিভিন্ন সংস্থা কৃষকদের দিয়ে মুরগি প্রতিপালন করায়। সংস্থার থেকে সেই মুরগি কিনে নেন পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা। সেই মুরগি পিকআপ ভ্যান, মিনি ট্রাক প্রভৃতি গাড়িতে করে রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে পাঠানো হয়। রাজ্যের সমস্ত জেলাতেই মুরগি প্রতিপালনের খামারবাড়ি রয়েছে।প্রতিদিন এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মুরগি বোঝাই গাড়ি যাতায়াত করে। ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় মুরগি বোঝাই গাড়ি থেকে জোর করে টাকা তোলে পুলিশ। টাকা দিতে অস্বীকার করলে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ সংগঠনের। শুধু পুলিশি জুলুম নয়। বিভিন্ন পুজোর সময় মুরগির গাড়ি থেকে জোর করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগও করেছেন পোল্ট্রি ব্যবসার সাথে যুক্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।এর আগে রাজ্যের একাধিক জেলায় সংগঠনের তরফে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ।

গত সপ্তাহে বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, "ক্ষুদ্র ব্যবসা যাঁরা করেন। রাজ্যের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে যাঁদের বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে যেতে হয় তাঁদের সকলের কার্ড তৈরি করে দেওয়া হবে। এক ফলে পুলিশ তাঁদের থেকে কোনও টাকা আদায় করতে পারবে না।’’ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরও পরিস্থিতির যে বদল হয়নি ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগই তা প্রমাণ করছে। সংগঠনের দাবি, যেখানেই পুলিশ গাড়ি থামায় সেখানেই ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে পুলিশকে দিতে হয়। না দিলে মিথ্যে মামলা দেয়।সংগঠনের আহ্বায়ক মহাদেব বাগ বলেন, "কয়েক দিন আগে কেশপুরে পুলিশ আমার গাড়ি আটকায়। আমি টাকা দিতে না চাওয়ায় আমার গাড়ি ৪৫ মিনিট আটকে রাখা হয়। ফলে কুড়িটি মুরগি মারা যায়। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন পুলিশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা তুলতে পারবে না। অথচ তারপরও মুরগির গাড়ির ওপর সমানে পুলিশি জুলুম চলছে সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ই-মেল করে অভিযোগ জানানো হয়েছে।’’

এ বিষয়ে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, "কিছুদিন আগে ট্রাফিকের ডিজি এবং ট্রাক অ্যাসোসিয়েশনের সাথে বৈঠক করেছি। সেখানে ট্রাক চালকেরাও পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ তুলেছিলেন। সমস্ত গাড়ি চালকদের বলব কোথাও পুলিশ অন্যায়ভাবে জুলুম করলে তথ্য প্রমাণ-সহ অভিযোগ দায়ের করুন। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Panskura
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE