Advertisement
২৭ মে ২০২৪
Grocery

Cyclone yaas: আসছে ঝড়, জরুরি সামগ্রী কিনতে ভিড়

ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে সাব-মার্সিবলপাম্প চালানো ও মোবাইল ফোন ‘চার্জ’ দেওয়ার জন্য একাংশ বাসিন্দা ছোট জেনারেটর ও জ্বালানি তেল কিনে রাখছেন।

সোমবার নন্দকুমার বাজারে উপচে পড়া ভিড়।

সোমবার নন্দকুমার বাজারে উপচে পড়া ভিড়। নিজস্ব চিত্র।

আনন্দ মণ্ডল
তমলুক শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২১ ০৭:৪০
Share: Save:

আছড়ে না পড়লেও পূর্বাভাস অনুযায়ী জেলার উপকূলবর্তী এলাকা দিয়ে বইয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। তার জেরে আজ, মঙ্গলবার থেকেই জেলাজুড়ে ভারী বৃষ্টি শুরু হবে। সোমবারও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অল্প বিস্তর বৃষ্টি হয়েছে। রাজ্য জুড়ে কার্যত ‘লকডাউন’ পরিস্থিতি এই প্রাকৃতিক দু্র্যোগ শুরু হওয়ায় এ দিন প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকানে উপচে পড়েছে ভিড়। সকলেরই একই কথা— ‘পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগেই বাড়িতে রেশন থেকে আপতকালীন সামগ্রী মজুত করে নাও’!

এ দিন সমুদ্র উপকূলবর্তী দিঘা-সহ কাঁথি, খেজুরি, হলদিয়া, তমলুক, মেচেদা, নন্দকুমার, চণ্ডীপুর, ভগবনাপুর, এগরা, পটাশপুর, ময়না, কোলাঘাট, পাঁশকুড়া ব্লকে ঝোড়ো বাতাস, বজ্রপাত-সহ দফায় দফায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বর্তমানে করোনার সতর্কতায় কার্যত ‘লকডাউন’ চলছে। তাতে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে বাজারের দোকানপাট। আজ, মঙ্গলবার দুর্যোগ বাড়ার আগেই তাই এ দিন প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী, ‘চার্জার লাইট’, মোমবাতি, কেরোসিন তেল, হ্যারিকেন, জ্বালানি তেল এমনকী, ছোট জেনারেটর কেনার হিড়িক পড়ে বিভিন্ন বাজারে। সেই ভিড়ে ধুলোয় মিশেছে করোনা সতর্কতাবিধি।

তমলুকের বড়বাজার, মহাপ্রভু বাজার, নন্দকুমার বাজার, মেচেদা বাজারে ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। বড়বাজারের মুদি ব্যবসায়ী কৃষ্ণেন্দু নাগ বলেন, ‘‘অন্য দিনের চেয়ে এদিন সকাল থেকেই বেশ ভিড় ছিল। খাবার সামগ্রী ছাড়াও অনেকে প্রচুর মোমবাতি কিনেছেন।’’ নন্দকুমার বাজারে এদিন হাট ছিল। এ দিন ভোর ৪টে নাগাদ হাটের দোকানপাটের পাশাপাশি বাজার শুরু হয়ে যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। চাল, মুড়ি, আনাজ, মাছের বাজারের দোকানগুলিতে কেনাকাটার জন্য বাসিন্দাদের ব্যপক ভিড় জমে। এছাড়াও অনেক বাসিন্দা মোমবাতি, হ্যারিকেন, ছোট জেনারেটর কিনে নিয়ে যান। স্থানীয় কোলসরের বাসিন্দা অসিত ঘোড়াই বলেন, ‘‘এদিন ভোর ৫ টা নাগাদ নন্দকুমার বাজারে গিয়েছিলাম। তখনও বেশ ভিড় ছিল। ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে বিকল্প ব্যবস্থা হ্যারিকেন কিনেছি।’’

ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে সাব-মার্সিবলপাম্প চালানো ও মোবাইল ফোন ‘চার্জ’ দেওয়ার জন্য একাংশ বাসিন্দা ছোট জেনারেটর ও জ্বালানি তেল কিনে রাখছেন। এক বছর আগে আমপানের সময় জেলার বিস্তীর্ণ অংশে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অকেজো হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় কয়েকদিন ধরে জেনারেটর চালিয়ে মোবাইল ‘ফোন’ চার্জ দেওয়ার ব্যবসা করেছিল একাংশ বাসিন্দা। এবারও তেমন পরিস্থিতির সম্ভবনা থাকায় একাংশ বাসিন্দা জেনারেটর কিনছেন বলে জানান বাসিন্দারা। জেলা কৃষি দফতরের সহ-অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা) মৃণালকান্তি বেরা বলেন, ‘‘দিঘার উপকূলবর্তী এলাকা-সহ জেলার সব ব্লকেই এদিন কম-বেশি বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে হয়েছে। আগামিকাল বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

crowd Grocery Cyclone Yaas
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE