Advertisement
১৮ মে ২০২৪
সঙ্কটে শহর ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া

ভ্যাট নেই, জঞ্জালে বাড়ছে মশা

সংস্কার না হওয়ায় ক্ষীরপাই শহরের নিকাশি নালায় জমছে আবর্জনার স্তূপ। আর তার থেকেই বাড়ছে মশা-মাছির উপদ্রব। মশা নিধনে সাড়ে তিন মাস আগেই নবান্ন থেকে নির্দেশ এসেছে। কিন্তু মশা মারতে এখনও কোনও হেলদোল নেই ক্ষীরপাই পুরসভার।

বদ্ধ: ক্ষীরপাইয়ের অধিকাংশ নালার হাল এমনই। নিজস্ব চিত্র

বদ্ধ: ক্ষীরপাইয়ের অধিকাংশ নালার হাল এমনই। নিজস্ব চিত্র

অভিজিৎ চক্রবর্তী
ঘাটাল শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৭ ০০:২৯
Share: Save:

সংস্কার না হওয়ায় ক্ষীরপাই শহরের নিকাশি নালায় জমছে আবর্জনার স্তূপ। আর তার থেকেই বাড়ছে মশা-মাছির উপদ্রব। মশা নিধনে সাড়ে তিন মাস আগেই নবান্ন থেকে নির্দেশ এসেছে। কিন্তু মশা মারতে এখনও কোনও হেলদোল নেই ক্ষীরপাই পুরসভার। পুরসভার চেয়ারম্যান দুর্গাশঙ্কর পানের অবশ্য দাবি, “আমরা শহরের নালা সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। রাসায়নিক তেলও স্প্রে হচ্ছে। কিন্তু মশাকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। তবে এ বিষয়ে আমরা সতর্ক।”

ক্ষীরপাই পুর-শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহরের নিকাশি নালা নিয়মিত পরিষ্কার হয়নি। নালার নোংরা জল উপচে ঢুকে পড়ছে বাড়িতেও। জঞ্জালও নিয়মিত সাফাই হয়নি। শহরের ভ্যাটগুলিতে বাড়ির নোংরা-আবর্জনায় ভর্তি। তার থেকে ছড়াচ্ছে দূষণও।

বাসিন্দাদের দাবি যে অমূলক নয়, তা শহর ঘুরলেই পরিষ্কার। ক্ষীরপাই শহরের কাছারিবাজার, হালদারদিঘি, তেলিবাজার, শিববাজার, চৌকান, বামারিয়া, কাশীগঞ্জ, নাপিতপাড়া প্রভৃতি এলাকা ঝোপ-জঙ্গলে ভর্তি। কাঁচা ও পাকা নদর্মা গুলিতে ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে আবর্জনা। রাস্তায় স্তূপ হয়ে রয়েছে মাটির ভাঁড়, ডাবের খোলা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নালা সংস্কার দূরের কথা, ভ্যাটও পরিষ্কার হয়নি। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে বাড়ির নোংরা তুলে আবর্জনায় ভর্তি ভ্যাটেই ফেলেন সাফাই কর্মীরা।

পুরসভা সূত্রের খবর, ক্ষীরপাই পুরসভায় ওয়ার্ডের সংখ্যা দশটি। সাড়ে চার হাজার পরিবারে মোট জনসংখ্যা প্রায় কুড়ি হাজার। অথচ,এই জনপদে নির্দিষ্ট জঞ্জাল ফেলার ভ্যাটও এখনও তৈরি করতে পারেনি পুরসভা। ফলে কালেভদ্রে ভ্যাট পরিষ্কার হয়। তাও আবার সব ভ্যাট পরিষ্কার হয় না। শহরের চৌকান এলাকার এক ব্যবসায়ীর কথায়, “এখনই নালার জল বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ছে। নালাগুলো মশার লার্ভায় ভর্তি। শহরে বাস করেও মশা-মাছির সঙ্গে কত লড়ব?” কাশীগঞ্জের এক স্কুল ছাত্রের কথায়, “আমরা নিজেরাই নিয়ম করে আবর্জনা পুড়িয়ে দিই। ধোঁয়ার গন্ধ সহ্য করেই থাকতে হয়।’’

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত বছর ক্ষীরপাই পুর-শহরে ২৩ জন মশাবাহিত অসুখে ভুগেছিলেন। এদের মধ্যে আটজন হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন। পুরসভার দাবি, নবান্ন থেকে নির্দেশ আসার আগেই স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকদের সচেতন সঙ্গে লিফলেট বিলি শুরু করে দিয়েছেন। নিয়ম করে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানোও হয়। নালাতে মশানাশক তেল স্প্রেও করা হচ্ছে।

শহরের ভ্যাটে নোংরা ভর্তি কেন? নালা উপছে নোংরা জল রাস্তাতেই বা ছড়াচ্ছে কেন? চেয়ারম্যান দুগার্শঙ্কর পান বললেন, “ঠিকঠাক প্ল্যানিং করে মশা নিধনের কাজ শুরু হয়নি। এ বার পাড়ায় পাড়ায় বৈঠক সঙ্গে মাইকে প্রচারও করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mosquito Drainage System Garbages
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE