উদ্ধার: গেঁওখালির কাছে হরিবল্লভপুরে তুলে রাখা হয়েছে বার্জটিকে। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র।
দীর্ঘ টালবাহানার পর উদ্ধার করা গেল হুগলি নদীতে ডুবে যাওয়া বাংলাদেশের বার্জ। শুক্রবার বার্জটিকে ক্রেন দিয়ে টেনে হুগলি নদীর পাড়ে নিয়ে আসা হয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর ভোরে হুগলি নদীতে ডুবে গিয়েছিল ওই বার্জটি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ থেকে ফ্ল্যাই অ্যাশ নিয়ে নামখানা যাওয়ার কথা ছিল সেটির। কিন্তু নদীতে বার্জের স্টিয়ারিংয়ের চেন কেটে গিয়েছিল। পরে সেটি মহিষাদলের গেঁওখালির কাছে বয়াতে ধাক্কা মেরে নদীর স্রোতে ভেসে যাওয়ার সময় হরিবল্লভপুরের কাছে ডুবে যায়।
ঘটনার কয়েক দিন বাদে কলকাতা থেকে উদ্ধারকারী একটি দল এসে বার্জটিকে টেনে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু নদীতে দিনের অধিকাংশ সময় জোয়ার থাকায় উদ্ধার কাজ স্বাভাবিক করা যায়নি বলে জানিয়েছিলেন উদ্ধারকারি দলের প্রতিনিধিরা। পরে প্রতিদিন ডুবুরি জলে নেমে বার্জে জমে থাকা পলি আর অন্য সরঞ্জাম খালি করেন। এতে ধীরে ধীরে বার্জটি হালকা হয় এবং একটু একটু করে বার্জের অংশ জলের উপর ভাসতে শুরু করে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর ডুবে যাওয়া সেই বার্জ (ফাইল চিত্র)।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ বার্জটি পুরোপুরি নদীর জলে ভেসে ওঠে। এর পর এ দিন ওই ভাসমান বার্জটি ক্রেন দিয়ে টেনে নদীর পাড়ে আনা হয়। বার্জটিকে টেনে নদীর পাড়ে নিয়ে আসার সময় স্থানীয়েরা এসে সহযোগিতা করেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মন্তাজ মল্লিকের কথায়, ‘‘উদ্ধারকারী দল যখনই সহযোগিতা চেয়েছে, তখনই গ্রামের মানুষ হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।’’ ওই বার্জের পাইলট মলয় বাগ বলেন, ‘‘এবার বিকল ইঞ্জিন মেরামত করে বার্জটি বাংলাদেশ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
এদিকে, একটানা ১৭ দিন নদীতে বার্জটি ডুবে থাকায়, দুষণের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না স্থানীয়েরা। তবে এ ব্যপারে উপকুল রক্ষীবাহিনীর ডিআইজি মহম্মদ আস্তিক ওয়ারসি বলেন, ‘‘দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদ এবং অন্তঃদেশীয় জলপথ বিভাগ তদন্ত করে দেখেছে, দূষণ নিয়ে কোনও চিন্তা থাকার নয়।’’
এদিন বার্জটিকে টেনে নদী পাড়ে নিয়ে আসার দৃশ্য দেখতে বহু উৎসাহী মানুষ ভিড় জমান এলাকায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy