Advertisement
২১ মে ২০২৪
Murder

দেড় বছরের পুত্রকে খুন করে হাতে-পায়ে দড়ি বেঁধে ফেলে দিলেন বাবা! অভিযোগ নন্দকুমারে

নন্দকুমারের মতিপুর গ্রামের ভাগবত পালের সঙ্গে কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ইড়খার বাসিন্দা মঞ্জুশ্রীর। বিয়ের পর থেকেই স্বামী তাঁকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ।

Father allegedly killed his son at Nandakumar of Purba Medinipur

প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
নন্দকুমার শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৩ ১২:২৩
Share: Save:

বিয়ের পর থেকে লাগাতার অত্যাচার চালানোর অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। তাতে অতিষ্ঠ হয়ে দেড় বছরের শিশুপুত্রকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে এসেছিলেন স্ত্রী। কিন্তু নিস্তার পাননি সেখানেও। মঙ্গলবার রাতে শ্বশুবাড়িতে এসে সকলের অজ্ঞাতসারে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধরের পর শিশুপুত্রকে খুন করার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানার ইড়খা গ্রামে। পুলিশ শিশুটির দেহ উদ্ধার করে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। সন্ধান চলছে অভিযুক্তের।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দকুমারের মতিপুর গ্রামের ভাগবত পালের সঙ্গে কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল ইড়খার বাসিন্দা মঞ্জুশ্রীর। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই প্রতিনিয়ত স্বামী তাঁকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ। এর পর শিশুপুত্র দেবরাজকে সঙ্গে নিয়ে বাপেরবাড়ি চলে আসেন মঞ্জুশ্রী। কিন্তু মাঝেমাঝেই শ্বশুরবাড়িতে এসেও স্ত্রীর উপর ভাগবত চড়াও হত বলে অভিযোগ। মঞ্জুশ্রীর দাবি, এ নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। কয়েক বার পুলিশেও জানানো হয়েছে। অভিযোগ, মঙ্গলবার ভাগবত তাঁর শ্বশুরবাড়িতে এসে সকলের অগোচরে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেন। স্ত্রী সংঞ্জা হারালে তিনি তাঁর শিশুপুত্রের হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে তাকে খুন করে বাড়ির পিছনে ফেলে দেন বলেও অভিযোগ। পরে বাড়ির পিছন থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়।

নন্দকুমার থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় ভাগবতের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তের সন্ধানে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder Death father police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE