প্রতীকী ছবি।
ঘড়ির কাঁটায় রাত ১১টা। হঠাৎ সাইরেনের তীক্ষ্ণ শব্দে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল হলদিয়ার টাউনশিপের বাসিন্দা পলি সরকারের। শুধু পলিদেবী নন, বুধবার রাতে টাউনশিপের থার্টিন মোড়ে বহু বাসিন্দা ওই সাইরেনের শব্দে চমকে উঠেছিলেন। অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছিল, আশেপাশে কোথাও কোনও বিপর্যয় ঘটেনি তো! কারণ, বিপদ ঘটলেই তো এ রকম সাইরেন বাজিয়ে সকলকে সতর্ক করা হয়।
গভীর রাতে জানা যায় সাইরেনের আসল কারণ। কোনও বিপর্যয় নয়, বিপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ওই রাতে হলদিয়ার রানিচকে হলদিয়া রিফাইনারি নামে একটি সংস্থায় চলছিল মহড়া। বুধবারের ওই সাইরেনের শব্দ প্রসঙ্গে পলিদেবীর বলেন, ‘‘খাওয়াদাওয়া সেরে শুতে গিয়েছি। আচমকা সাইরেনের শব্দ। এত রাতে সাইরেনের শব্দ শুনে ভেবেছিলাম কোনও বিপদ হয়েছে। রাতে আর ভাল করে ঘুম হয়নি।’’ একই প্রতিক্রিয়া টাউনশিপের বাসিন্দা অসীমকুমার পতির। তাঁর দাবি, ‘‘তিন-চার বার সাইরেন শুনে চমকে গিয়েছিলাম। আমার স্ত্রী এবং ছেলে মেয়ে কোথাও বড় আগুন লেগেছে বা ভুমিকম্প ভেবে ঘরের বাইরে বেরোতে চাইছিলেন।’’
শুধু সাধারণ মানুষ নয়, বুধবারের সাইরেনে চমকে গিয়েছিলেন হলদিয়ার দমকল বিভাগের কর্মী- আধিকারিকেরাও। হলদিয়া দমকল বিভাগের আধিকারিক নির্মল নস্কর বলেন, ‘‘আমাদের কাছেও সাইরেনের আওয়াজ নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। পরে জানি ওটা হলদিয়া রিফাইনারির মহড়ার জন্য বাজানো হয়েছিল।’’
ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশনের পক্ষ এ দিন জানানো হয়েছে, হলদিয়া রিফাইনারির উদ্যোগে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য মহড়া আয়োজন করা হয়েছিল। ট্যাঙ্কে আগুন লাগলে কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে, সেই পরিস্থিতি যাচাই করতে মহড়া হচ্ছিল। ওই রিফাইনারির এক আধিকারিক শর্বরী জানা বলেন, ‘‘সংস্থার আভ্যন্তরীন নিরাপত্তার স্বার্থে ওই মহড়া করা হয়েছিল। সংস্থার নিজস্ব বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মীরা কতটা প্রশিক্ষিত, তা যাচাই করা হচ্ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy