বিস্ফোরণের পরে। ফাইল চিত্র
তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের একজনও গ্রেফতার না হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক। শুক্রবার তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, কেন কেউ গ্রেফতার হয়নি, আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যকে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।
গত বর ২৩ অগস্ট পশ্চিম মেদিনীপুরের মকরামপুর বাজারে তৃণমূলের কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণে তিন দলীয় কর্মী মারা যান। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতেরা হলেন বিকাশ ভুঁইয়া, বিমল চৌধুরী এবং সুদীপ্ত ঘোষ। বিস্ফোরণের পরে নিরাপত্তা চেয়ে এবং স্বামীর মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন সুদীপ্তর স্ত্রী সুপ্রিয়া সামন্ত ঘোষ। মামলার আবেদনে বিশেষ তদন্তকারী দল গড়ে নিরপেক্ষ তদন্তেরও দাবি জানানো হয়।
গত বছর ১০ ডিসেম্বর ওই মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর আদালতে। বিচারপতি চক্রবর্তী ওই দিন রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিস্ফোরণের কী তদন্ত হয়েছে, তার একটি রিপোর্ট জমা দিতে। ইতিমধ্যে মামলাটি স্থানান্তরিত হয় বিচারপতি বসাকের আদালতে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারির শুনানিতে সুপ্রিয়ার আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় আদালতে জানান, বিস্ফোরণের পরে তাঁর মক্কেল নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মহিলা এখনও জানেন না পুলিশ তিন জনের মৃত্যুর ঘটনার কী তদন্ত করেছে। কাকে কাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তা-ও পুলিশ জানায়নি বলে আদালতকে জানানো হয়। পুলিশ সুপ্রিয়াদেবীকেও এখনও পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদই করেনি বলে আদালতে অভিযোগ জানান ওই আইনজীবী। ওই দিন বিচারপতি বসাক রাজ্যের কৌঁসুলি অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন, তদন্তের একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে।
এ দিন অমিতেশবাবু আদালতে একটি রিপোর্ট জমা দেন। মামলার আবেদনকারীর আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ আদালতে জানান, পুলিশ অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা। তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণের ঘটনার অন্যতম এক অভিযোগকারী নিখোঁজ হয়ে যান। পরে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কাজেই অভিযুক্তরা যে প্রভাবশালী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই কারণেই মামলার আবেদনকারী পুলিশি নিরাপত্তা চেয়েছেন। তা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি বসাক সরকারি কৌঁসুলির কাছে জানতে চান, কী কারণে এফআইআরে নাম থাকা অভিযুক্তদের একজনও এখনও গ্রেফতার হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy