প্রতীকী ছবি।
বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। বিষয়টি মাথায় রেখে এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে ‘হ্যালো ডাক্তারবাবু’ পরিষেবা চালু করছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি, জেলা জুড়ে একাধিক সেফ হোম তৈরি করা হচ্ছে।
করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের সময় পরিকাঠামোগত অভাব দেখা গিয়েছিল গোটা দেশেই। দ্বিতীয় ঢেউয়ে সময় পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়া যায়। এবার তৃতীয় ঢেউ আসার আগে তার সঙ্গে লড়তে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ। জ্বর, সর্দি, কাশি-সহ করোনার উপলক্ষ দেখা গেলেই এবার সরাসরি ব্লক প্রশাসনকে ফোনের মাধ্যমে জানানোর পরিষেবা চালু করা হবে।
মঙ্গলবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৪। পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন ১১ জন। স্বাস্থ্য দফতরের একাংশের দাবি, খুবই কম সংখ্যক রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি প্রয়োজন হচ্ছে। সেই জন্য বাড়িতে থেকেই যাতে আক্রান্তেরা চিকিৎসা করাতে পারেন, সে জন্য ‘হ্যালো ডাক্তারবাবু’ চালু করা হবে। এই পরিষেবায় একটি নম্বর দেওয়া হবে, যাতে ফোন করে আমজনতার করোনা সংক্রান্ত শারীরিক সমস্যার কথা প্রশাসনকে জানাতে পারবেন।
ব্লকের পাশাপাশি জেলাতেও ‘হ্যালো ডাক্তারবাবু’র চিকিৎসকেরা থাবেন। ফ্লেক্স-হোর্ডিং দিয়ে, সামাজিক মাধ্যম, সব জায়গাতেই ওই নম্বরটিকে ছড়িয়ে দেওয়ার হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রতি ব্লকে ২৪ ঘণ্টা জুড়ে একজন চিকিৎসক নিযুক্ত থাকবেন ওই পরিষেবা দিতে। জেনে নেওয়া হবে আক্রান্তের নাম এবং ঠিকানা। যাতে পরে আশা কর্মীরা ওই আক্রান্তের অবস্থা খোঁজ রাখতে পারেন। এছাড়া, জেলার ২৫টি ব্লকে এবং পাঁচটি পুরসভা মিলে মোট ৩০টি সেফহোমের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে সেগুলির চিহ্নিতকরণও হয়ে গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি বলেন, ‘‘জেলাবাসীর সুবিধা পাওয়ার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। করোনা হয়েছে শুনে আতঙ্কিত না হয়ে হ্যালো ডাক্তার বাবুর কাছে পরামর্শ নিলে রোগী বা রোগীর পরিজন সব রকম সাহায্য পাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy