খড়্গপুরের নিমপুরায় চলছে কাজ। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।
রাত হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফেরার বাস মিলছে না। অথবা হঠাৎ অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামায় দাঁড়ানোর জায়গা নেই। রাস্তায় বেরিয়ে এমন নানা সমস্যার মুখে প়ড়েন কমবেশি সকলেই। সমস্যা দূর করতে এ বার ‘পথসাথী’ প্রকল্পে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের কাছে তৈরি করা হবে হোটেল। এখানে বসার জায়গার পাশাপাশি থাকবে মাথা গোঁজার জায়গাও।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সব বাসস্টপেজগুলির উপর একাধিক এলাকার মানুষ নির্ভরশীল মূলত সেখানেই রাজ্য সরকারের আবাসন দফতরের উদ্যোগে মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করা হবে। এই হোটেলে থাকবে এটিএম। পেটিএমে টাকা মেটানোর সুবিধাও থাকবে। পুরুষ-মহিলাদের জন্য আলাদা শৌচাগার, চায়ের দোকান, রেস্তোরাঁ, বসার জায়গা- থাকবে এ সবও। রাত্রিবাসের জন্য তৈরি করা হবে ঘরও।
আপাতত পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা, খড়্গপুর, ঝাড়গ্রাম ও নারায়ণগড়ে এই প্রকল্পের কাজ হবে। ডেবরার হরিমতি সারস্বত হাইস্কুলের কাছে, নারায়ণগড় থানার উল্টোদিকে, ঝাড়গ্রামের লোধাশুলি বাসস্ট্যান্ডে ও খড়্গপুরের নিমপুরাতে এই হোটেল তৈরি হবে। ৫-৬ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে তৈরি হচ্ছে এক একটি প্রকল্প। এক একটি-র জন্য খরচ প্রায় ৩ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। আবাসন দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “মার্চ মাসের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শেষ যাবে। তারপরই দফতরের হাতে হস্তান্তর করে দেব।”
অনেক জায়গায় প্রতীক্ষালয় না থাকায় সাধারণ মানুষ রোদে-জলে সমস্যায় পড়েন। যদিও সব জায়গায় প্রতীক্ষালয় গড়তে কেউ উদ্যোগী হয়নি বলে অভিযোগ। বর্তমানে জেলার কয়েকজন বিধায়ক ও সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে কয়েকটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরির জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। পথসাথী প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে বলেই আশা প্রাশাসনিক কর্তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy