—প্রতীকী ছবি
ছোট মেয়ের পিতৃত্ব নিয়ে সন্দেহ ছিল। সে কারণেই প্রথমে তাকে কুপিয়ে খুন করেছিল বাবা। আর সেই দৃশ্য দেখে ফেলায় বড় মেয়েকেও একইভাবে খুন করে সে।
হলদিয়ার বড়বাড়ির জোড়া খুনের ঘটনার কারণ হিসাবে এই তত্ত্বই সামনে এনেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে অভিযুক্ত বাবা বিপ্লব দাস জেরায় এমন কথায় জানিয়েছে। শনিবার বিপ্লবকে নিয়ে বড়বাড়িতে খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ।
তদন্তকারীদের দাবি, বারবার জেরায় নানা রকম তথ্য দিলেও প্রকৃত কারণ নিয়ে অসঙ্গতি মিলছিল ধৃতের বক্তব্যে। শেষমেশ শুক্রবার সে স্বীকার করে, ছোট মেয়ের পিতৃত্ব নিয়ে তার দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ ছিল। তা নিয়ে স্ত্রী সাগরিকার সঙ্গে বচসাও হতো। উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর বাড়ির ভেতর থেকে দুই বোনের গলা কাটা দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়েরা। ঘটনায় তাদের বাবা বিপ্লবকে ডালিম্বচক থেকে গ্রেফতার করেছিল ভবানীপুর থানার পুলিশ।
পুলিশের দাবি, জেরায় বিপ্লব জানিয়েছে, এই দিন বাড়িতে শুধু বিপ্লব ও দুই মেয়ে পুতুল, পূজা ছিল। বড় মেয়ে পুতুল শৌচাগারে গিয়েছিল। সেই সুযোগে বিপ্লব ছোট মেয়েকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। তার চিৎকার শুনে পুতুল শৌচালয় থেকে বেরিয়ে আসে। তখন তাকেও খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
এ দিন জোড়া খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ চলাকালীন কড়া পুলিশি ব্যবস্থার মোতায়েন ছিল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পারিজাত বিশ্বাস বলেন, ‘‘ছোট মেয়ের পিতৃত্ব নিয়ে সন্দেহ ছিল বিপ্লবের। তাই প্রথমে তাকে ও পরে বড় মেয়েকে খুন করা হয়। জেরায় যেমন স্বীকারোক্তি করেছিল ধৃত, এ দিন তেমন পুনর্নির্মাণ করে দেখিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy