পরিদর্শন: খড়্গপুর স্টেশনে রেল প্রতিমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
‘এ ওয়ান’ তকমা ছিল আগেই। এ বার আন্তর্জাতিক মানের স্টেশন হিসেবে খড়্গপুর স্টেশনকে গড়ে তুলবে রেল। স্টেশন পরিদর্শন করে সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী রাজেন গোহেন।
সকালে রেল স্টেশন পরিদর্শনের পরে বিজেপির একটি কর্মিসভাতেও যোগ দেন মন্ত্রী। মন্ত্রীর পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার অনির্বাণ দত্ত, খড়্গপুরের ডিআরএম রাজকুমার মঙ্গলা-সহ রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। স্টেশন চত্বরে সকাল থেকেই ছিল আঁটোসাটো নিরাপত্তা। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বিশেষ ‘সেলুন কার’-এ এসে পৌঁছন রেল প্রতিমন্ত্রী। এরপরে স্টেশনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিশ্রামাগারে কিছুক্ষণ রেল আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।
বৈঠক শেষে দশ মিনিট স্টেশন পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। স্টেশন থেকেই বিজেপির কর্মিসম্মেলনে যোগ দিতে রওনা হন তিনি। মন্ত্রী বলেন, “খড়্গপুর ‘এ ওয়ান’ স্টেশন। আমরা দেশের ৫০০টি স্টেশনকে বিশ্বমানের স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছি। তার মধ্যে খড়্গপুরও রয়েছে। সেই কারণেই খড়্গপুরে পরিদর্শনে এসেছি। পরে বেশ কয়েকটি নকশা দেখে একটি বাছাই করা হবে।”
রেল-পুরসভার টানাপোড়েনে প্রায়ই খড়্গপুর শহরের রেল এলাকার উন্নয়ন ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ প্রসঙ্গে রেল প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, “আমি শুনেছি রেল এলাকার উন্নয়নে বাধা আসছে। এটা হতে পারে না। বাধা দেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে ডিআরএমকে জিজ্ঞাসা করব।” শহরের রেল এলাকার বাজারেও বিদ্যুৎ ও জলের সমস্যা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে রাজেন গোহাইন বলেন, “রাজ্যের শাসকদলের এই কাজ করা উচিত। রেলের জমিতে অবৈধ নির্মাণ ঠিক নয়। তবে ন্যূনতম নাগরিক পরিষেবার জন্য জল, রাস্তা, আলোর ব্যবস্থা তো করতে কোথাও বাধা নেই।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বিভিন্ন রেলশহরে স্থানীয় কর্পোরেশন তো কাজ করে। এখানে রেল আধিকারিকেরা বাধা দিলে ভুল করছে।”
রেল প্রতিমন্ত্রীর সফর নিয়ে তৃণমূলের শহর সভাপতি প্রদীপ সরকারের কটাক্ষ, “এর আগে এই শহরে কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন এফএম রেডিও স্টেশন হবে। এখনও একটি খুঁটিও পড়েনি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রেলমন্ত্রী এসে বলেছিলেন রেলবস্তির উন্নয়ন করে ভূগোল বদলে দেবেন। রেলবস্তি এখনও অন্ধকারে।’’ এরপরেই তাঁর সংযোজন, ‘‘এ বার রেল প্রতিমন্ত্রী বিশ্বমানের স্টেশন গড়বেন বলছেন। আবারও আশায় থাকলাম। তবে বিশ্বমানের স্টেশনের আগে রেলবস্তির জল, বিদ্যুৎ, শৌচাগারের চাহিদা মেটাক রেলমন্ত্রক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy