এই শৌচাগার নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের কার্যালয়। পাশে তৈরি হয়েছে শৌচাগার। মেদিনীপুর শহরে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পের আওতায় তৈরি সেই শৌচাগার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
বিজেপির দাবি, এ ভাবেই সরকারি প্রকল্পের অপব্যবহার করেছে তৃণমূল। গরিব মানুষের প্রাপ্য সুবিধা বেহাত করা হয়েছে। বিজেপির জেলা সম্পাদক অরূপ দাস বলেন, ‘‘দলীয় কার্যালয়ের শৌচাগার কেন সরকারি প্রকল্পে তৈরি হবে? কে নির্মাণের অনুমতি দিলেন? তদন্ত হওয়া উচিত।’’ তৃণমূলের অবশ্য যুক্তি, এলাকার মানুষের সুবিধার্থেই শৌচাগারটি করা হয়েছে। তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি স্বপন পাল বলেন, ‘‘শৌচাগারটি রাস্তার পাশে রয়েছে। স্থানীয়দের সুবিধার্থেই এটি তৈরি করা হয়েছে।’’ ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর অনিমা সাহার দাবি, ‘‘কোনও অনিয়ম হয়নি। রাস্তার পাশে শৌচাগার না থাকায় স্থানীয়দের সমস্যা হত। সে দিকটি দেখেই শৌচাগারটি করা হয়েছে।’’ অনিমা যোগ করেন, ‘‘আমরা মানুষের সমস্যা দেখেছি। বিজেপি কী বলল কিছু এসে যায় না!’’
মেদিনীপুর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তোড়াপাড়ায় তৃণমূলের একটি কার্যালয় রয়েছে। কার্যালয়টি দলের যুব সংগঠনের। কার্যালয়ের দরজায় ঘাসফুলের ছবি আঁকা। সঙ্গে লেখা রয়েছে ‘টিএমওয়াইসি’। অর্থাৎ তৃণমূল যুব কংগ্রেস। কার্যালয়ের দেওয়াল ঘেঁষেই রয়েছে শৌচাগারটি। মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে এটি তৈরি হয়েছে। উপভোক্তার নাম পবন নায়েক। কোনও উপভোক্তার নামে শৌচাগারের অনুমোদন করিয়ে সেই শৌচাগার কেন তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের পাশে হবে? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। পবন কিছু বলতে চাননি। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার অবশ্য মন্তব্য, ‘‘দলীয় কার্যালয়ে তো সব সময়ে দলের লোকজন থাকে না। ফলে দলের লোকেদের ব্যবহারের জন্যই শৌচাগারটি তৈরি করা হয়েছে, এমন ভাবনা ভুল।’’
এ ভাবে কি সরকারি প্রকল্পের শৌচাগার দলীয় কার্যালয়ের পাশে তৈরি করা যায়? যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিষয়টি জানি না। খোঁজ নেব।’’ পুরসভার এক আধিকারিকের আশ্বাস, ‘‘নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy