মলয় বলেন, ‘‘যে সমবায়গুলোতে ভোট হচ্ছে, সেখানে সিপিএম এবং বিজেপি এক হয়ে লড়ছে। তাদের একটাই লক্ষ্য, তৃণমূলকে হারানো।’’ —ফাইল চিত্র।
নানা দুর্নীতি মামলায় ‘চাপে’ শাসকদল। তারক উপর রয়েছে গোষ্ঠীকোন্দল। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় নেতৃত্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিতে গিয়ে আত্মবিশ্বাসী মন্ত্রী মলয় ঘটক। তাঁর দাবি, দলীয় নেতৃত্ব এক থাকলে বিরোধীরা কোনও সুবিধা করতে পারবে না। শুক্রবার ঝাড়গ্রামের সভা থেকে মলয়ের মম্তব্য, ‘‘আমরা যদি এক হই, সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস ছাড়া আমেরিকা থেকে কোনও দল নিয়ে এলেও তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে পারবে না।’’
শুক্রবার ঝাড়গ্রাম শহরের ডিএম হলে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয়। ছিলেন মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, প্রাক্তন মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতো, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের চেয়ারপার্সন বীরবাহা সোরেন টুডু, ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু, জেলার বিধায়করা। মলয় বলেন, ‘‘কেউ বিনা পয়সায় রেশন পাচ্ছেন। কেউ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়েছেন। কেউ লক্ষ্মীর ভান্ডার পেয়েছেন, কোন পরিবার কন্যাশ্রী পেয়েছেন। আদিবাসীদের জন্য একাধিক উন্নয়ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’ মলয়ের সংযোজন, ‘‘আপনাদের মনে রাখতে হবে আমাদের বিরোধী কারা। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি সবাই এক হয়ে গিয়েছে তৃণমূল হারানোর জন্য। এমনকি যে সমবায়গুলোতে ভোট হচ্ছে, সেখানে সিপিএম এবং বিজেপি এক হয়ে লড়ছে। তাদের একটাই লক্ষ্য, তৃণমূলকে হারানো। তাহলে আমরা যারা তৃণমূল কংগ্রেস করি তাহলে কেন এক হতে পারব না।’’
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গ তুলে মলয় বলেন, ‘‘২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আপনারা দেখেছেন সমস্ত টিভির পর্দা কিনে নিয়েছিলেন মোদী। হেলিকপ্টারে করে সব বড় বড় নেতা ঘুরছিলেন। কিন্তু বিজেপি ২০০ (আসন) পার করতে পারেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেরেছিলেন। তাই আরও বেশি মানুষের কাছে যেতে হবে আমাদের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy