দুর্ভোগ: রাস্তার ধারেই চলছে যাত্রী ওঠানো-নামানো। নিজস্ব চিত্র
দাবি দীর্ঘদিনের। যদিও আজও ডেবরাচকে তৈরি হয়নি বাসস্ট্যান্ড। রাস্তায় রোদে দাঁড়িয়েই বাস ধরতে হয় এলাকার বাসিন্দাদের। বাসগুলিও রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলায় যানজটে নাকাল হন নিত্যযাত্রীরা।
ডেবরাচক দিয়ে গিয়েছে মুম্বই-কলকাতা ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। ডেবরাচকের দক্ষিণে রয়েছে হাওড়া-খড়্গপুর শাখার ব্যস্ততম রেলস্টেশন বালিচক। ডেবরাচক থেকে বালিচক ডেবরা-সবং প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার ধারে রয়েছে একাধিক স্কুল, কলেজ, সরকারি অফিস ও থানা। সবং, পিংলা, নারায়ণগড়, পটাশপুর, ময়না-সহ বিভিন্ন রুটের বাস যাতায়াত করে এই ডেবরা-সবং রাস্তা দিয়েই। হলদিয়া, কলকাতা, মেচেদার মতো বিভিন্ন দূরপাল্লার রুটের বাসও চলাচল করে ডেবরাচকে জাতীয় সড়ক দিয়ে। স্ট্যান্ড না থাকায় রাস্তায় দাঁড়িয়েই চলে যাত্রী তোলা। নাভিশ্বাস ওঠে যানজটে।
হলদিয়া-ঝাড়গ্রাম রুটের এক বাস চালক কার্তিক সামন্ত, ময়না-মেদিনীপুর রুটের এক বাসের কন্ডাক্টর বিশ্বজিৎ জানারা বলছেন, “এ ভাবে শখে কি কেউ রাস্তার ওপর বাস দাঁড় করায়! খুব অসুবিধা হয়। বাস দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই পিছন থেকে অন্য গাড়ি হর্ন মারতে শুরু করে। যানজটে নাজেহাল সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয় আমাদের। ডেবরায় বাসস্ট্যান্ড তৈরি খুব প্রয়োজন।”
শুধু বাসস্ট্যান্ড নয়, ডেবরাচকে কোনও যাত্রী প্রতীক্ষালয়েরও ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। বাসের অপেক্ষায় রোদেরই যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। শৌচাগার না থাকায় বিপাকে পড়েন অনেকে। ডেবরার গরামের বাসিন্দা বিভাস বেরা, পটনার স্কুল শিক্ষক লক্ষ্মীকান্ত হাজরাদের বক্তব্য, “নিয়মিত ডেবরাচক থেকেই বাসে যাতায়াত করি। এই গরমে কী যে দুর্বিষহ অবস্থা হয় তা বোঝানো যাবে না। একটা শৌচাগার, ছাউনি কিছুই নেই। প্রতিদিন যানজটের ফাঁসে আটকে থাকতে হচ্ছে। অথচ বাসস্ট্যান্ড গড়ার কোনও পরিকল্পনা চোখে পড়ছে না।”
ডেবরায় বাসস্ট্যান্ড না হওয়ার জন্য জমির সমস্যাকেই দায়ী করছেন ওই ব্লকের বিডিও ললিত সেন। ললিতবাবু বলছেন, “ডেবরাচকে বাসস্ট্যান্ড না থাকায় সমস্যা হয়। এটা নিয়ে নিশ্চয় ভাবনাচিন্তা করব। তবে জমি একটা বড় সমস্যা। দেখা যাক!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy