ভোগপুরে ট্রেন অবরোধ। —নিজস্ব চিত্র।
গত কয়েক মাস ধরেই লাগাতার দেরিতে চলছে ট্রেন। এই নিয়ে বার বার অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হয়নি। প্রতিবাদে সপ্তাহের প্রথম দিনে রেল অবরোধে শামিল হলেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। সোমবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর-হাওড়া শাখায় কোলাঘাট থানা এলাকার ভোগপুর স্টেশনে দীর্ঘ ক্ষণ অবরোধ করলেন নিত্যযাত্রীরা। যার দেরে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে থমকে থাকে ট্রেন চলাচল। অবশেষে রেল পুলিশের হস্তক্ষেপে বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ অবরোধ উঠে যায়। অবরোধকারীদের হুঁশিয়ারি, শীঘ্রই এই পরিস্থিতি না বদলালে আগামী দিনে আবারও একই ভাবে রেল অবরোধ করতে বাধ্য হবেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বিক্ষোভকারীরা ভোগপুর স্টেশনের আপ ও ডাউন লোকাল ট্রেনের সামনে অবরোধ শুরু করেন। এর জেরে স্টেশনে দু’টি ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। বিক্ষোভকারীদের দাবী, নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে ট্রেন আসায় অফিস পৌঁছতে প্রতিদিন দেরি হচ্ছে তাঁদের। স্টেশন ম্যানেজারকে এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টে যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়। এর পরেই অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন নিত্যযাত্রীরা।
দীর্ঘ প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে এই অবরোধ চলতে থাকায় হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল সাময়িক ভাবে থমকে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রেল পুলিশ। ক্ষুব্ধ যাত্রীদের অবরোধ তুলতে অনুরোধ জানানো হয়। অবশেষে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে স্বাভাবিক করা হয় ট্রেন চলাচল। বিক্ষোভকারী এক যাত্রী জসীমুদ্দিন খান বলেন, ‘‘করোনার সময় থেকেই দেরিতে চলছে ট্রেন। আমরা প্রায়শই কাজের জায়গায় সময়ে পৌঁছতে পারি না। তার উপর কিছু লোকাল ট্রেন সুপার বলে সব স্টেশনে দাঁড়ায় না। এই সমস্যা সমাধানে বার বার আবেদন জানালেও আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। এই কারণেই বাধ্য হয়ে আজ প্রতিবাদে শামিল হয়েছি।’’
এ প্রসঙ্গে খড়্গপুর রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার রাজেশ কুমার বলেন, ‘‘ভোগপুরে ট্রেন অবরোধ হয়েছিল। তবে তা এখন উঠে গিয়েছে। এই অবরোধ কেন হয়েছে বা এর জেরে ট্রেন চলাচলে কতটা সমস্যা হয়েছে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য শীঘ্রই প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy