মধুচক্র চালানোর অভিযোগে পাকড়াও। —নিজস্ব চিত্র।
পর্যটকের আনাগোনা বাড়তেই দিঘার বিভিন্ন হোটেলে বসতে শুরু করেছে মধুচক্রের আসর। এমন অভিযোগ পেয়ে যৌথ অভিযান চালাল দিঘা এবং দিঘা মোহনা থানার পুলিশ। সোমবার রাতভর দুই থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে যৌনপেশার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ছয় মহিলা। মঙ্গলবার ধৃতদের কাঁথি মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে ধৃতদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দিঘা থানা সূত্রে খবর, সোমবার রাতে দিঘা রেল স্টেশনের অদূরে ভোগীব্রহ্মপুর এলাকার একটি বাড়িতে মধুচক্রের আসর বসিয়েছিল এক দল যুবক। বাইরে থেকে মহিলাদের এনে যৌনপেশায় ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এর পরেই দিঘা থানার পুলিশ অভিযানে নেমে গোপন আস্তানা থেকে পাঁচ মহিলা এবং দুই যুবককে পাকড়াও করে। ধৃত মহিলারা প্রত্যেকেই অন্য জেলার বাসিন্দা। তবে দুই যুবকের মধ্যে এক জন কাঁথি থানার বাসিন্দা। তার নাম সৌমেন পাত্র। অন্য জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। তার নাম মনিরুল মোল্লা বলে জানা গিয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে চম্পট দিয়েছে ওই বাড়ির মালিক।
সোমবার রাতে অভিযানে নামে দিঘা মোহনা থানার পুলিশও। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওল্ড দিঘার একটি হোটেল থেকে এক মহিলা-সহ দুই যুবককে যৌনপেশায় যুক্ত সন্দেহে পাকড়াও করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হোটেলের ম্যানেজারও। পুলিশ ওই হোটেলের নথিপত্রও বাজেয়াপ্ত করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy