পার্ক সংলগ্ন জায়গায় পড়ে আবর্জনা। নিজস্ব চিত্র
শেওলা জমা স্মৃতিফলকে কী লেখা, বোঝা প্রায় অসাধ্য। ফলকের পাশেই আবর্জনার স্তূপ। আশেপাশের ফাঁকা জমিতে ঘিঞ্জি দোকানপাট। নন্দকুমার বাজারের প্রাণকেন্দ্রে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর স্মৃতি বিজড়িত পার্কের এমন হাল নিয়ে ‘ক্ষুব্ধ’ এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই রাজীব পার্কের এমন শোচনীয় দশা। পার্কের পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নন্দকুমার বাজারের কাছে হলদিয়া–মেচেদা রাজ্য সড়ক এবং নন্দকুমার- দিঘাগামী জাতীয় সড়কের সংযোগকারী রাস্তার পাশে পূর্ত দফতরের জায়গায় ওই পার্ক। ১৯৯২ সালে পার্কের উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্কটির রক্ষণাবেক্ষণের দ্বায়িত্ব নিয়েছিল নন্দকুমার বাজার কমিটি।
রাস্তার পাশে রয়েছে প্রচুর দোকানপাট। অভিযোগ, সেই সব দোকানের বর্জ্য পার্ক সংলগ্ন এলাকায় ফেলা হচ্ছে। এতে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। পার্ক সংলগ্ন সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হলদিয়া– মেচেদা, নন্দীগ্রাম-মেচেদা, দিঘা- মেচেদা-সহ বিভিন্ন রুটের বাস চলে। পার্কের কাছেই রয়েছে বাসস্টপ। এক যাত্রী বলেন, ‘‘প্রতিদিন যাতায়াত করি এখান দিয়ে। এক এক সময় এত দুর্গন্ধ ছড়ায়, যে দাঁড়ানো যায় না।’’ আর এক যাত্রীর অভিযোগ, এভাবে জনবহুল এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনকে জানানো হলেও পার্ক সংস্কারের ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। পার্ক এবং সংলগ্ন এলাকার এমন বেহাল অবস্থা নিয়ে নন্দকুমার পশ্চিম ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অরূপকুমার ভৌমিক বলেন, ‘‘প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর স্মৃতিতে গড়া পার্কটির সংস্কারের জন্য ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছি।’’ পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা নন্দকুমার বাজার কমিটির সম্পাদক তথা তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য মৃগাঙ্কশেখর ভৌমিক বলেন, ‘‘পার্ক চত্বরে কিছু দোকানদার আবর্জনা ফেলছেন, এটা আমাদের নজরেও এসেছেন। তবে বাজার কমিটির তরফে মাঝেমধ্যে আবর্জনা সাফাই করা হয়। পার্কটি পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের জন্য আমরাও প্রশাসনকে জানাব।’’
পার্কের বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করেছেন নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি সুকুমার বেরা। তিনি বলেন, ‘‘রাজীব গাঁধীর স্মৃতিতে বাজারের ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে ওই পার্ক গড়া হয়েছিল। বাজার কমিটির সাহায্য নিয়ে পার্কটি পূর্ণাঙ্গভাবে সংস্কার করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy