পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। তমলুকের ডহরপুর স্কুলে। — নিজস্ব চিত্র।
প্রশ্নপত্রে ঘোষণার বাইরে প্রশ্ন এসেছে- অভিযোগ তুলে পরীক্ষা বন্ধ করে দিলেন পরীক্ষার্থীরাই। কয়েকশো যুবক যুবতীর বিক্ষোভ সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যেতে হয় বিশাল পুলিশবাহিনীকে।
রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর পঞ্চায়েত ও জেলা গ্রামোন্নয়ন দফতরের তরফে আয়োজন করা হয়েছিল ‘আনন্দধারা’ প্রকল্পে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগের পরীক্ষার। তমলুক শহরের ডহরপুর তফশিলি হাইস্কুলে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৫০০ পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রশ্নপত্র তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হল থেকে বেরিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। পরীক্ষাকেন্দ্রে যান পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক অন্তরা আচার্য ও তমলুকের সদর মহকুমা শাসক শুভাশিস বেজ।
পরে জেলা গ্রামোন্নয়ন দফতরের তরফে এ দিনের পরীক্ষা বাতিল করার নোটিশ দেওয়া হয়। জানানো হয় পরবর্তী পরীক্ষার দিন পরে জানানো হবে। জেলা প্রশাসন ও জেলা গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের ‘আনন্দধারা’ প্রকল্পে জেলার নন্দীগ্রাম ১, খেজুরি ২, তমলুক ও রামনগর ১ ব্লক মিলিয়ে মোট ১২ টি এরিয়া কো-অরডিনেটর পদে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছিল।
তার ভিত্তিতে ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া কথা ছিল। এ ছাড়াও ২০ নম্বরের ইন্টারভিউ ও ১০ নম্বরের কম্পিউটার পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ছিল। লিখিত ৭০ নম্বরের জন্য বাংলা, ইংরাজি, প্রাথমিক গণিতে ১৫ নম্বর করে মোট ৪৫ এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ারস ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আন্দোলনের বিষয়ে ২৫ নম্বরের প্রশ্নপত্র থাকার কথা জানানো হয়েছিল।
কিন্তু এ দিন তমলুক শহরের ডহরপুর তপশিলি হাইস্কুলে সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়। প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েই দেখা যায় মোট ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্র। তা ছাড়া প্রশ্নের ধরনেও কোনও মিল নেই। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যেই প্রকাশ্যে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ওই স্কুলের বারন্দায় প্রশ্নপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
স্কুল চত্বরে ব্যপক উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়।পরীক্ষা দিতে আসা খেজুরির শুভময় করণ, ভগবানপুরের অশোক ভুইয়া, ময়নার দীপায়ন মাইতিদের অভিযোগ, ‘‘সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের যে বিবরণ দেওয়া হয়েছিল তার সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কোনও মিল নেই। তা ছাড়া ৭০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল। এ দিন আমরা ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্র পেয়েছি।’’ ঘোষণার বাইরে প্রশ্ন আসার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের কিছু করণীয় আছে বলে মানতে চাননি জেলাশাসক অন্তরা আচার্য। তিনি বলেন, ‘‘প্রশ্নপত্র কলকাতা থেকেই পাঠানো হয়েছিল। আমাদের কোনও ভূমিকা নেই। তবে পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভেরক জেরেই এ দিনের পরীক্ষা বাতিল করে
দেওয়া হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy