Advertisement
২১ মে ২০২৪

বস্তি এলাকার উন্নয়নের দায় নেবে না রেল

রেল-পুরসভা টানাপড়েনে খড়্গপুরের উন্নয়ন ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ প্রায়ই ওঠে। উন্নয়নে ব্রাত্য খড়্গপুরের রেল এলাকা, এমনও অভিযোগ শোনা যায়। এ বার খোদ খড়্গপুর ডিভিশনের ডিআরএম রাজকুমার সর্বমঙ্গলা রেল এলাকার বস্তির উন্নয়ন তাঁদের কাজ নয় বলে দাবি করলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৬ ০০:৪৭
Share: Save:

রেল-পুরসভা টানাপড়েনে খড়্গপুরের উন্নয়ন ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ প্রায়ই ওঠে। উন্নয়নে ব্রাত্য খড়্গপুরের রেল এলাকা, এমনও অভিযোগ শোনা যায়। এ বার খোদ খড়্গপুর ডিভিশনের ডিআরএম রাজকুমার সর্বমঙ্গলা রেল এলাকার বস্তির উন্নয়ন তাঁদের কাজ নয় বলে দাবি করলেন।

বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে খড়্গপুরের রেল এলাকার উন্নয়ন না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। যদিও এ বার খড়্গপুরের রেল এলাকার বস্তি বাদ দিয়েই বাকি অংশে উন্নয়নের কাজ করার কথা বললেন ডিআরএম। রেলের জমিতে বেআইনি জবরদখল বসার পিছনে পুরপ্রধান-সহ কাউন্সিলরদের মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

গত ২৬ মে থেকে চলছে রেলের ‘হামসফর সপ্তাহ’। বুধবার সপ্তাহের শেষ দিন উপলক্ষে খড়্গপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে ডিআরএম রাজকুমারবাবু বলেন, ‘‘আমরা রেল কলোনির উন্নয়নের কাজে গুরুত্ব দিয়েছি। অনেক জায়গায় আলোর বন্দোবস্তও করা হয়েছে। যেখানে সমস্যা আছে সেখানে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।” রেলবস্তি এলাকায় সমস্যা প্রসঙ্গে ডিআরএমের বক্তব্য, ‘‘রেলের জমিতে অবৈধ জবরদখলে গজিয়ে ওঠা বস্তির উন্নয়ন আমাদের কাজ নয়। তাই ওখানে কোনও পরিকাঠামোর উন্নয়ন আমরা করব না।”

২০১০ সালে ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের পর রেল এলাকাও খড়্গপুর পুরসভার অধীনে আসে। বর্তমানে খড়্গপুর শহরের রেল এলাকার ৮টি ওয়ার্ড পুরসভার অন্তর্গত। রেল-কর্তৃপক্ষের দাবি, রেলের জমিতে অনুমতি ছাড়া যে কোনও নির্মাণ বেআইনি। জবরদখল হটাতে রেল অভিযানও চালায়। তাই ওই সমস্ত বস্তিতে উন্নয়নের কাজ করা নিয়ম বহির্ভূত। ডিআরএমের অভিযোগ, “রেলের এলাকার কাউন্সিলরদের অবৈধ নির্মাণে বাধা দেওয়া উচিত। কিন্তু পুরপ্রধান-সহ কাউন্সিলরেরা উল্টে তাতে মদত দিচ্ছে। এই প্রবণতা চলতে থাকলে আমরা আইনি পদক্ষেপ করব।”

এ বিষয়ে খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “২০১০সালের আগে কী রেল এলাকায় বস্তি ছিল না! তখন সেগুলি কার মদতে গড়ে উঠেছে?’’ শুধু বস্তি নয়, রেল এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থায়ী কার্যালয়ও গড়ে উঠেছে। এই প্রসঙ্গে প্রদীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘এখন রেল এলাকার ওয়ার্ডের মানুষ আমাদের কাছে এসে রেশন কার্ড, আধার কার্ডের ব্যবস্থা করার কথা বলছে। সে জন্য আমাদের কার্যালয় প্রয়োজন হচ্ছে। আইনের রাস্তায় যাওয়ার আগে রেল কার্যালয়ের ব্যবস্থা করে দিক।”

রেল এলাকার বস্তির উন্নয়ন প্রসঙ্গে পুরপ্রধান বলেন, ‘‘রেল এলাকার বস্তির উন্নয়ন নিয়ে কেন্দ্র সরকারের ভাবা উচিত। কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলের বিধায়ক তো বস্তি এলাকার উন্নয়ন করার কথা বলেছেন। উনি যদি চান তবে আমরাও সহযোগিতা করতে পারি।” যদিও বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি প্রেমচাঁদ ঝা বলেন, “রেল আধিকারিক নিয়মের বাইরে গিয়ে কথা বলতে পারবে না। কিন্তু আমাদের বিধায়ক দিলীপ ঘোষের প্রতিনিধি ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। কথা অনেক দূর এগিয়েছেও। রেলমন্ত্রী যখন কথা দিয়েছেন তিনি কথা রাখবেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Railway Department Slums kharagpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE