প্রতীকী ছবি।
বর্ষার আগে ডেঙ্গি নিয়ে ইতিমধ্যেই সমস্ত পুরসভাকে সতর্ক করেছে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন পুরসভার দাবিমতো সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করাও শুরু হয়েছে। অথচ তার মধ্যেই হলদিয়া পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের পদ্মপুকুর এলাকায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেল।
হলদিয়ার হাতিবেড়িয়া স্টেশনের পাশে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জলপ্রকল্পে অস্থায়ী নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন রামপদ জানা। তাঁর ছেলে দীপঙ্কর জানা বলেন, ‘‘আটদিন আগে প্রবল জ্বর এবং সারা শরীরে ব্যথা নিয়ে বাবা হলদিয়ার বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি হন। জ্বর না কমায় চিকিৎসকেরা রক্তের নানা রকম পরীক্ষা করতে বলেন। সে সব করার পর তাঁরা জানিয়েছেন, রোগীর ডেঙ্গি হয়েছে।’’ পরিবারের দাবি, নৈশপ্রহরী হিসাবে যেখানে কাজ করেন সম্ভবত সেখানেই মশার কামড়ে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন রামপদ।
হলদিয়ার বিসি রায় হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক হাবিবুর রহমান সর্দার বলেন, ‘‘রামপদবাবুর রক্ত পরীক্ষার ফল মঙ্গলবার আমাদের হাতে এসেছে। তা থেকে আমরা নিশ্চিত তাঁর ডেঙ্গি হয়েছে। রোগীর পরিজনদেরও তা জানিয়ে দিয়েছি।’’
বর্ষার মুখে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার খবরে নড়েচড়ে বসেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। ডেঙ্গি রোধে পুরসভার পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এ দিন অবশ্য ডেঙ্গিতে আক্রান্তের খবর পেয়েই স্বাস্থ্যকর্মীরা এবং পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারভাইজার প্রতাপ প্রধান এলাকায় যান। সাফাইকর্মীদের দিয়ে গোটা এলাকায় স্প্রে করা হয়। পুরসভা সূত্রে দাবি, পুর এলাকায় সবর্ত্রই ডেঙ্গি রোধে কাজ চলছে। মশা মারার স্প্রে থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ চলছে নিয়মিত।
পুর-পারিষদ (জনস্বাস্থ্য) চন্দন মাজির দাবি, ২৬টি ওয়ার্ডে ৩৮২ জন মহিলা কর্মী, ৩৮ জন সুপারভাইজারের নেতৃত্বে ডেঙ্গি রোধে কাজ করছেন।
যদিও পুরবাসীর অভিযোগ, ডেঙ্গি নিয়ে প্রচার চললেও মশা মারা এবং নিকাশি নালা পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে পুরসভা সে ভাবে গুরুত্ব দেয় না। বহু এলাকায় সাফাই কর্মীরা ঠিকমতো কাজ করছেন কি না, খামতি রয়েছে সেই নজরদারিতেও। স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি, পদ্মপুকুরেরর বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় মানুষের সচেতনতার অভাবে জল জমা থাকে। মশারি না টাঙিয়ে ঘুমোনোর প্রবণতাও দেখা গিয়েছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীকে সতর্ক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy