—প্রতীকী ছবি।
এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তকে সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম এডিজে ফাস্ট কোর্ট। জরিমানার টাকার ৯০ শতাংশ নির্যাতিতাকে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আদালত সূত্রে খবর, ২০১৫ সালের ১৫ মে ঝাড়গ্রামের বেলিয়াবেড়া থানা এলাকায় এক মহিলাকে জোর করে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে তাপস পণ্ডা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সরকারি আইনজীবী (পাবলিক প্রসিকিউটর) প্রশান্ত রায় বলেন, ‘‘২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছিল। চলতি মাসের ২০ তারিখে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব শেষ হয়। ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ পর্বের শেষে তাপস পণ্ডাকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। অভিযুক্তকে সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই জরিমানার টাকার ৯০ শতাংশ ওই নির্যাতিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।’’
জানা গিয়েছে, বিলিয়াবেড়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ওই বছরের অক্টোবর মাসে চার্জশিট জমা পড়ে আদালতে। ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হয়ে যায় সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব। ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিন্হা বলেন, ‘‘পকসো, ধর্ষণ, ধর্ষণ করে খুনের মতো ঘটনা গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়। মামলার বিচার প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত শেষ করা যায়, সে ব্যাপারেও সমন্বয় রাখা হয় আদালতের সঙ্গে। পকসো মামলাতে কিছু দিন আগেই একটি সাজা ঘোষণা হয়েছে। আজ আরও একটি ধর্ষণের মামলায় সাজা ঘোষণা হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy