সাফল্য: মার্কশিট হাতে পেয়ে উচ্ছসিত মেদিনীপুর মিশন গার্লস স্কুলের ছাত্রীরা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যমিকে পাশের হার বাড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরে। একলাফে অনেকটাই। পাশের হারের নিরিখে এ বারও সারা রাজ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। আর তৃতীয় স্থানে পশ্চিম মেদিনীপুর। পূর্ব মেদিনীপুরে যেখানে পাশের হার ৯৬.০৬ শতাংশ, সেখানে পশ্চিম মেদিনীপুরে পাশের হার ৯০.১৮ শতাংশ।
গতবার পশ্চিম মেদিনীপুরে পাশের হার ছিল ৮৫.৮১ শতাংশ। পাশের হার বাড়লেও, পূর্বকে টেক্কা দেওয়া সম্ভব হয়নি। শিক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, জঙ্গলমহলে শিক্ষার হার কম হওয়ার কারণেই পিছিয়ে পড়ছে পশ্চিম। সেই সঙ্গে শালবনি, গোয়ালতোড়ের মতো কিছু এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামেও শিক্ষার আলো সে ভাবে পৌঁছয়নি। তবে পরিস্থিতিটা বদলাতে শুরু করেছে।
জেলার শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্রের কথায়, “আগে অনেকে গ্রামের কাছাকাছি স্কুলে মাধ্যমিক পড়তে পারত না। এখন সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। এ বার পাশের হার বেড়েছে। এর সুফল আগামী দিনেও মিলবে।” জেলার এক শিক্ষকের কথায়, “এটা তো ঠিক জঙ্গলমহল এলাকা দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত ছিল। ওই সব এলাকার সর্বত্র শিক্ষার প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ছিল না। এই সময়ের মধ্যে পরিকাঠামোর অনেকটাই উন্নতি হয়েছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুরে সম্ভাব্য প্রথম হয়েছে সায়ন্তিকা হুই। মিশন গার্লস স্কুলের ছটফটে এই ছাত্রী এ বারের মাধ্যমিকে পেয়েছে ৬৮৩ নম্বর। তবে পড়াশোনাটা তার কাছে রুটিন নয়, জানাতে ভোলেনি সায়ন্তিকা। শনিবারও সকাল সকাল স্কুলে এসে বন্ধুদের সঙ্গে হুড়োহুড়ি করেছে। মার্কশিট হাতে নিয়ে ছবিও তুলেছে সকলের সঙ্গে। গোটা রাজ্যে তার স্থান অষ্টম। তবে ফল ভাল হবে সে বিশ্বাস সায়ন্তিকার বরাবরই ছিল।
অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের পরিদর্শক দেবাশিস হুই ও শালবনি হাইস্কুলের শিক্ষিকা রুমেলা হুইয়ের মেয়ে সায়ন্তিকা বড় হয়ে চিকিৎসক হতেই চায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy