ছাত্র সংসদ এসএফআইয়ের। তাই নবীনবরণের আয়োজন করতে দেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এমনই অভিযোগ উঠল দাসপুরের চাঁইপাট কলেজে।
সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৌমেন বেরা বলেন, “শুক্রবার সন্ধ্যার পর টিচার-ইনচার্জ লিখিতভাবে জানান পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই অনুষ্ঠান করা যাবে না।” ছাত্র সংসদের দাবি, প্রায় আড়াই মাস আগে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে নবীনবরণ এবং পত্রিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানের আবেদন করা হয়। চলতি মাসের গোড়ায় ফের আবেদন জানাতে যান সদস্যরা। কোনও বারই কর্তৃপক্ষ কিছু জানাননি। সৌমেন বলেন, ‘‘আমরা নিজেরাই গত ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠানের দিনও ঠিক করি। কিন্তু তা নিয়ে আপত্তি করেন কর্তৃপক্ষ। তাই আমরা পিছিয়ে ২৪ ডিসেম্বর দিন ঠিক করি। কিন্তু তাও করতে দেওয়া হল না।’’
এসএফআইয়ের অভিযোগ, গোটা দক্ষিণবঙ্গে একমাত্র চাঁইপাট কলেজই তৃণমূলের ক্ষমতার বাইরে। তাই ভয় পেয়ে এমন কাণ্ড করছে তৃণমূল। সংগঠনের জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ মুদি বলেন, “ছাত্র-সংসদের বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই তৃণমূল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা আন্দোলনে নামব।”
যদিও টিচার-ইনচার্জ দেবাশিস সর্দার বলেন, “১৯ ডিসেম্বর পরিচালন কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যে হেতু ছাত্র ভোট আসন্ন, তাই এখনই ওই অনুষ্ঠান করা যাবে না। ভোট মিটে গেলে সবাইকে নিয়েই এই অনুষ্ঠান হবে।” জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে দাসপুরের নাড়াজোল, চন্দ্রকোনা-সহ সমস্ত কলেজেই নবীনবরণ অনুষ্ঠান হয়ে গিয়েছে। গত ২০ ডিসেম্বর ঘাটাল কলেজে ওই অনুষ্ঠান হয়েছে ঘটা করে। ফলে অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকেই।
অবশ্য চাঁইপাট কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি ও তৃণমূলের দাসপুর-২ ব্লক সভাপতি তপন দত্তের সাফ কথা, “কলেজের নির্বাচন আসন্ন। ভোটের আগে অশান্তি এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy