Advertisement
১৮ মে ২০২৪
WB Panchayat Election 2023

বিপুল মনোনয়নে লক্ষ্মীলাভ!

মনোনয়ন জমা করার আগে ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রিসিপ্ট) কাটতে হয় প্রার্থীকে। সরকারের কাছে জমা করতে হয় নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা। কত?

Election

—প্রতীকী ছবি। Sourced by the ABP

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৩ ০৮:৩২
Share: Save:

এ বার পঞ্চায়েতে প্রচুর মনোনয়ন হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। গতবারের চেয়ে বেশিই। স্বভাবতই সরকারের ঘরে জমা পড়েছে গতবারের চেয়ে বেশি টাকা। ডিসিআর কাটা বাবদ। জেলায় মনোনয়ন জমা পড়েছে সবমিলিয়ে প্রায় ১৩ হাজার। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, এতে সরকারের কোষাগারে জমা পড়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েতে জেলায় মনোনয়ন জমা পড়েছিল প্রায় ৯,৬০০টি।

মনোনয়ন জমা করার আগে ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রিসিপ্ট) কাটতে হয় প্রার্থীকে। সরকারের কাছে জমা করতে হয় নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা। কত? জেলা পরিষদের প্রার্থী হতে গেলে ১ হাজার টাকা জমা করতে হয়। সংরক্ষিত আসনের ক্ষেত্রে অর্ধেক, অর্থাৎ ৫০০ টাকা। পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হতে গেলে ৫০০ টাকা জমা করতে হয়। সংরক্ষিত আসনের ক্ষেত্রে অর্ধেক, অর্থাৎ, ২৫০ টাকা। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী হতে গেলে ১৫০ টাকা জমা করতে হয়। এ ক্ষেত্রেও সংরক্ষিত আসনের ক্ষেত্রে অর্ধেক, অর্থাৎ ৭৫ টাকা। এ বার পুনর্বিন্যাসের জেরে জেলায় আসন বেড়েছে। পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরে সবমিলিয়ে ৮৭০টি আসন বেড়েছে। আগে ছিল ৩,৭০২টি। এ বার বেড়ে হয়েছে ৪,৫৭২টি। জেলা পরিষদের আসন ৫১টি থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০টি। পঞ্চায়েত সমিতির আসন ৬১১টি থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৩১টি। আর গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন ৩,০৪০টি থেকে বেড়ে হয়েছে ৩,৮৮১টি।

পশ্চিম মেদিনীপুরে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩,৮৮১টি আসনের মধ্যে মহিলা সংরক্ষিত ১,৮৯১টি আসন। তফসিল জাতি, উপজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষিত ১,৬৯৯টি আসন (এর কিছু মহিলা সংরক্ষিতও)। সংরক্ষণের আওতায় নেই ১,০৯২টি আসন। পঞ্চায়েত সমিতির ৬৩১টি আসনের মধ্যে মহিলা সংরক্ষিত ৩১১টি আসন। তফসিল জাতি, উপজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষিত ২৮৮টি আসন। সংরক্ষণের আওতায় নেই ১৬৯টি আসন। জেলা পরিষদের ৬০টি আসনের মধ্যে মহিলা সংরক্ষিত ৩০টি আসন। তফসিল জাতি, উপজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষিত ৩০টি আসন। সংরক্ষণের আওতায় নেই ১৫টি আসন।

কমিশন সূত্রে খবর, জেলায় মনোনয়ন জমা পড়েছে ১২,৯৯৯টি। গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০,৬৭৪টি, পঞ্চায়েত সমিতিতে ২,০৩৮টি এবং জেলা পরিষদে ২৮৭টি। প্রার্থীরা ডিসিআর কাটার সময় যে টাকা জমা দেন, সেই টাকা ট্রেজারি হয়ে জমা পড়ে সরকারের ঘরেই অর্থাৎ সরকারি কোষাগারে। কত টাকা জমা পড়ল? প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, জেলা পরিষদে আসন পিছু গড়ে ৫টি করে মনোনয়ন জমা পড়েছে। ১৫টি আসন সংরক্ষণের আওতায় নেই। ১ হাজার টাকা করে এ ক্ষেত্রে জমা পড়েছে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা। ৪৫টি আসন সংরক্ষিত। ৫০০ টাকা করে এ ক্ষেত্রে জমা পড়েছে প্রায় ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা। সমিতিতে আসন পিছু ৩টি করে মনোনয়ন জমা পড়েছে। সংরক্ষণের আওতায় নেই ১৬৯টি আসন। ৫০০ টাকা করে এ ক্ষেত্রে জমা পড়েছে প্রায় ২ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা। সংরক্ষিত ২৮৮টি আসন। ২৫০ টাকা করে এ ক্ষেত্রে জমা পড়েছে প্রায় ২ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা। পঞ্চায়েতের আসন পিছুও গড়ে ৩টি করে মনোনয়ন জমা পড়েছে। সংরক্ষণের আওতায় নেই ১,০৯২টি আসন। ১৫০ টাকা করে এ ক্ষেত্রে জমা পড়েছে প্রায় ৪ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা। সংরক্ষিত ১,৬৯৯টি আসন। ৭৫ টাকা করে জমা পড়েছে প্রায় ৩ লক্ষ ৮২ হাজার। অর্থাৎ, জেলা থেকে সরকারের ঘরে সবমিলিয়ে জমা পড়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE