খবর ছিল পুরপ্রধান হওয়ার দৌড়ে অনেক দূর এগিয়েছেন তিনি। এমনকী শহর জুড়ে রটনা ছিল বিজেপি কাউন্সিলর পূজা নায়ডুকে নিয়ে জেলে গিয়ে দেখা করে এসেছিলেন শ্রীনু নায়ডুর সঙ্গেও। ফলে খড়্গপুরে বোর্ড গঠনে অন্য সমীকরণ খুঁজছিল রাজনৈতিক মহল।
কিন্তু আদালতের নির্দেশে জহরলাল পালের প্রার্থী পদ ঘিরেই সৃষ্টি হল জটিলতার। সম্প্রতি মেদিনীপুর জেলা আদালতের বিচারক এক নির্দেশ জারি করে খড়্গপুর পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী জহরলাল পালকে নতুন করে মান্যতা দেওয়া ও জয়ী হিসেবে ঘোষণায় স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। খড়্গপুরের রিটার্নিং অফিসার তথা মহকুমাশাসককে নির্দেশের প্রতিলিপিও পাঠানো হয়েছে।
বুধবার মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য এ কথা স্বীকার করে বলেন, “আদালতের একটি নির্দেশ হাতে পেয়েছি। তাতে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের জয়ী প্রার্থীকে নতুন করে জয়ী ঘোষণা বা মান্যতা দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে আমার কী করণীয় তা নির্বাচন কমিশনের কাছে বিস্তারিত জানতে চাইব।”
এ দিকে রবিবার খড়্গপুরের কৌশল্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে নিজেকে ওই মামলার আইনি পরামর্শদাতা হিসেবে দাবি করেন গত লোকসভা নির্বাচনের মেদিনীপুর কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী বিমল রাজ। তিনি জানান, জহরলাল পালের মনোনয়ন পত্রে দেওয়া তথ্যে অসঙ্গতি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে জহরবাবুর শিক্ষগত যোগ্যতা ও সম্পত্তির হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিমলবাবু। আর সেই অসঙ্গতিই আদালতের কাছে তুলে ধরে জহরবাবুর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা ওই মামলা করেছেন বলে বিমল রাজ জানিয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ১১ মে মেদিনীপুর আদালত এই নির্দেশ জারি করেছে।
যদিও জহরলাল পাল বলেন, “আমি মনোনয়নের সঙ্গে যে তথ্য দিয়েছিলাম তা সঠিক। এই মামলার পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। তবে আদালতের রায় নিয়ে কিছু বলব না। আইনি পথে লড়াই করব।”
প্রসঙ্গত, খড়্গপুর পুরসভায় ১১টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। কংগ্রেসও পেয়েছে সম সংখ্যাক আসন। ফলে ৩৫ আসনের এই পুরসভায় এ বার ফল ত্রিশঙ্কু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy