মারিশদা থানার গ্রামে বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। — নিজস্ব ছবি।
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে তাঁর ‘মেগা’ সমাবেশ ঘিরে জেলায় যখন সাজ সাজ রব, তখন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ের চাকা থামল সভাস্থলের পথেই একটি গ্রামে। কথা বললেন স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গেই ঘুরে দেখলেন বাড়িঘর। যাওয়ার আগে আশ্বাস দিয়ে বলে গেলেন, ‘‘দেখে গেলাম। যা করার করব।’’
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক কাঁথিতে সভা করতে কলকাতা থেকে রওনা দিয়েছেন অভিষেক। কিন্তু সোজা সভাস্থলে পৌঁছল না তাঁর কনভয়। থেমে গেল পূর্ব মেদিনীপুরেরই মারিশদার থানা এলাকার অন্তর্গত একটি গ্রামে। অভিষেককে দেখেই তাঁকে দেখতে দৌড়ে চলে আসেন মহিলা ও শিশু-সহ বহু মানুষ। অনেকে জড়ো হতেই তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতায় নেমে পড়েন সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। অনেকেই তাঁকে নিজেদের অভাব-অভিযোগের কথা বলেন। অভিষেক প্রশ্ন করেন, রেশন পান? সমস্বরে তার জবাব আসে, ‘‘রেশন পাই। কিন্তু অনেক সরকারি ভাতাই পাই না।’’ জলনিকাশির খারাপ অবস্থার কথা বলেন এক মহিলা। অভিষেক তাঁকে বলেন, ‘‘চলুন, দেখে আসি।’’ তার পরই ওই মহিলার সঙ্গে হাঁটা দেন গ্রামের ভিতরে। পিছন পিছন অন্য মহিলারা। যোগাযোগের জন্য চেয়ে নেন ফোন নম্বর। পাশাপাশি, তাঁদের সকলকে সাহায্যের আশ্বাস দেন। বলেন, ‘‘আমি দেখে গেলাম। যা করার করব। আমি যখন তখন চলে আসব। এক কাপ চা খেয়ে যাব।’’ তাঁকে ‘দাদাভাই’ বলে সম্বোধন করতে দেখা যায় মহিলাদের।
এর আগে উত্তরঙ্গের ধূপগুড়িতে সভা করতে যাওয়ার পথেও দোমহনিতে থেমে গিয়েছিল অভিষেকের গাড়ি। সেখানে নেমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। শুনেছিলেন অভাব-অভিযোগের কথা। কাজ না হওয়ায় ফোনে ধমকও দিয়েছিলেন পদাধিকারীকে। এ বারও অনেকটা সেই একই ভাবে কনভয় থামিয়ে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগে নেমে পড়লেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy