মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের। প্রতীকী চিত্র।
অরুণাচল প্রদেশে কাজ করতে গিয়ে অস্বাভবিক মৃত্যু হল কোলাঘাটের তিন পরিযায়ী শ্রমিকের। এঁরা প্রত্যেকেই কাঠের কাজ করতেন। বদ্ধ ঘরে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। দেহগুলি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা হচ্ছে কোলাঘাটে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দিন কুড়ি আগে কোলাঘাটের সিদ্ধা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তিনজন শেখ মুজিবর রহমান(৩৯), শেখ সইফ আলি(২২) ও সৈয়দ সানে আলি(১৯) পাঁশকুড়ার এক ঠিকাদারের সাথে অসমে কাঠের কাজ করতে যান। মুজিবর এবং সইফের বাড়ি রেনুবাড় গ্রামে। সানে আলির বাড়ি দক্ষিণ জিয়াদায়। কয়েক দিন আগে অসম থেকে আরেক ঠিকাদারের সাথে তাঁরা অরুণাচল প্রদেশের আনিনি থানা এলাকার একটি জায়গায় যান কাজের জন্য। তিনজনের সাথে পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট এলাকার আরও চারজন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বুধবার ওই তিনজনের বাড়ির লোকের কাছে ফোনে খবর আসে যে, ঘুমের মধ্যে তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনজনেরই পরিবারের লোকজন কোলাঘাট থানার সাথে যোগাযোগ করেন। কোলাঘাট থানা অরুণাচল প্রদেশের আনিনি থানার সাথে যোগাযোগ করে মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়। ময়নাত দন্তের পর দেহগুলি নিয়ে রওনা দিয়েছেন মৃতের পরিবারের লোকজন।
যদিও তিনজনের কী ভাবে মৃত্যু, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। মৃত শেখ সইফ আলির বাবা শেখ সেরাজুল আলি বলেন, ‘‘ওরা তিনজন একটি ঘরে থাকত।পাশের ঘরে আমাদের এলাকার চারজন থাকত। মঙ্গলবার ছেলের বমি হয়েছিল বলে জানিয়েছিল।বুধবার শুনলাম ওদের তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে।’’ সানে আলির বাবা সৈয়দ আতাউর রহমানও দাবি করেন, ‘‘মঙ্গলবার রাতে আমার ছেলে ফোন করে বমি হওয়ার কথা জানায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’’
কোলাঘাট থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আনিনি থানার ওসি জানিয়েছেন ওই তিনজন যে ঘরে ছিল তাতে কোনও জানালা ছিল না। ঠাণ্ডার জন্য ঘরে মধ্যে কাঠের আগুন জ্বালানো হয়েছিল। প্রাথমিক অনুমান, ঘরের মধ্যে অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড জমে গিয়ে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে ওই তিনজনের।খাদ্যে বিষক্রিয়ার বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy