কর্মী সঙ্কট। সমস্যায় ভুগছে দেশের সেরা আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দিঘা কেন্দ্র। দিঘা আবহাওয়া কেন্দ্রে আট জন কর্মী থাকার কথা। যদিও বতর্মানে মাত্র ৪ জন স্থায়ী কর্মী ও এক জন ঠিকাকর্মী মিলিয়ে মোট পাঁচ জন কর্মী রয়েছেন।
দেশের মূল ভূখণ্ড ও পারিপার্শ্বিক এলাকার আবহাওয়ার তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও পরিবেশনের ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতার বিচারে দেশের সেরা আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রের স্বীকৃতি পেল দিঘা। ভারতীয় আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রের অধীনে দেশ জুড়ে ১৯৮টি ভূতল (সারফেস) ও ৬২টি এয়ার (বেলুন) কেন্দ্রের মধ্যে সেরার স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে দিঘা কেন্দ্র। সেরার স্বীকৃতিস্বরূপ সম্প্রতি দিল্লিতে দিঘা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক পল্লব দাসের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিজ্ঞান মন্ত্রী ভি হর্ষবর্ধন। পল্লববাবু জানান, দিঘা কেন্দ্রে মূলত সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময়কাল, সূর্যকিরণ থাকার সময়ের ব্যপ্তি, দিনের বিভিন্ন সময়ের তাপমাত্রা, বায়ুর গতিবেগ, আর্দ্রতা ও জলীয় বাষ্পের পরিমাণের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। নির্ধারিত সময়ে প্রতিদিন আট বার সেই তথ্য পাঠানো হয় দমদম ও আলিপুর আবহাওয়া কেন্দ্রেও। সংগৃহীত সেই সব তথ্য বিশ্লেষণ করে আলিপুর আবহাওয়া কেন্দ্র থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম পূর্বাভাস দেওয়া হয়। সাম্প্রতিক কালে ‘পিলিন’ আর ‘হুদহুদ’ ঝড়় সম্পর্কে আগাম পূর্বাভাস ও ঝড়ের গতিবিধি সম্পর্কে পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতেই দিঘা কেন্দ্রকে সেরা হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।
১৯৮২ সালের ১ এপ্রিল সমুদ্রতল থেকে ৩৯৭ মিটার উচ্চতায় দিঘা কেন্দ্রটি গড়ে ওঠে। এই কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য দু’টি স্টিভেনশন স্ক্রিন রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে আপেক্ষিক আর্দ্রতা পরিমাপক ও বৃষ্টিপাত পরিমাপক ‘রেনগেজ’ যন্ত্রও। ভবনের দোতলার ছাদে বসানো হয়েছে ‘সানসাইন রেকর্ডার’। এর সাহায্যে সূর্যকিরণের ব্যপ্তির সময়কাল পরিমাপ করা হয়। রয়েছে ‘হাইস্পিড উইন্ড রেকর্ডার ট্রান্সডিউসার’ও। এই যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুর গতিবেগ পরিমাপ করা হয়। যদিও গত জুলাই মাস থেকে অকেজো হয়ে পড়ে এই ট্রান্সডিউসার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy