মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার শুরু হল কেশিয়াড়িতে। মঙ্গলবার সিপিআই প্রার্থী প্রবোধ পান্ডা ও বিধায়ক বিরাম মাণ্ডির উপস্থিতিতে ব্লকের দু’টি গ্রাম সাঁতরাপুর ও গগনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মিছিল করা হয়। কাল সাড়ে ৮টায় প্রথম মিছিল হয় সাঁতরাপুর থেকে বনদেউলি পর্যন্ত। মিছিল শেষে ফের গগনেশ্বর থেকে কানপুর পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার পথে মিছিল যায়। বামেদের দাবি, মিছিলে ভাল সাড়া মিলেছে। কেশিয়াড়ি এলাকায় বরাবরই সিপিএমের ভাল প্রভাব রয়েছে। বিধানসভায় এই ব্লক থেকেই জয়ী হয়েছিলেন বিরাম মাণ্ডি। আবার দাঁতন-১ ব্লকের একটি গ্রাম পঞ্চায়েত বাদ দিলে সবগুলিই এই কেশিয়াড়ি বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত। কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েতেও ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩টি দখল করে বামেরা। ফলে এই এলাকায় ভাল ফল আশা করছেন প্রার্থী প্রবোধবাবু। মঙ্গলবার বিকালে এ দিন বিকেলে কেশিয়াড়ির কুসুমপুরে একটি কর্মীসভারও আয়োজন করা হয়। ওই সভায় মূলত রাজ্যের তৃণমূল সরকারের নীতিহীন কাজের সমালোচনা ও কেন্দ্রের দুর্নীতি নিয়েই নেতা-কর্মীদের প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। এছাড়াও গত পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই কেশিয়াড়ি এলাকায় সিপিএমের ওপর হামলা, হুমকী-সহ যে সব অভিযোগ উঠেছে তা-ও তুলে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবারই দাঁতনে গ্রামে যে শবর মহিলার চুল কেটে শ্লীলতাহানির যে অভিযোগ উঠেছিল তাঁদের বাড়িতেও এ দিন বাম প্রতিনিধিদল যায়। ওই দলে ছিলেন প্রার্থী প্রবোধ পাণ্ডা, ঝাড়গ্রামের প্রার্থী পুলিনবিহারী বাস্কে, বিধায়ক বিরাম মাণ্ডি ও সিপিএমের জোনাল সম্পাদক অনিল পট্টনায়েক প্রমুখ। তবে এ দিন ওই মহিলা বাড়িতে ছিলেন না। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মহিলার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন প্রবোধবাবু। তিনি বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হয়েও মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে পারছেন না। মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারও একজন মহিলা। তাই এই মামলা আরও কড়া হওয়া উচিৎ ছিল। আমরা পরিবারের পাশে রয়েছি।” আবার এলাকার বিধায়ক বিরাম মাণ্ডি বলেন, “মেয়েটি লজ্জায় ও নিরাপত্তার অভাবে গ্রামে যেতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁকে অন্যত্র থাকতে হচ্ছে। এটি নিন্দনীয় ঘটনা। আমরা প্রচারে রাজ্যের নারী নির্যাতনের সমস্ত ঘটনা তুলে ধরব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy