সারা দেশ জুড়ে মহিলা ভোটার সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। প্রশাসন চাইছে, তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে ভোটদানে উৎসাহ আসুক। পশ্চিম মেদিনীপুরে সেই চেষ্টার যে ফল মিলেছে প্রমাণ মিলল সাম্প্রতিক একটি পরিসংখ্যানে। গত ৫ জানুয়ারি প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুযায়ী গত বছর যেখানে প্রতি এক হাজার পুরুষ পিছু মহিলা ভোটারের সংখ্যা ছিল ৯৪৫, সেখানে এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ৯৪৭। জেলা নির্বাচন দফতরের জেলা আধিকারিক বিশ্বরঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, “জেলায় মহিলা ভোটার আগের থেকে বেড়েছে। আমাদের সকলেরই উচিত, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করা।” তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে নানা কর্মসূচি করা হবে বলেও তিনি জানান।
এক আধিকারিকের কথায়, “গত বছর যেখানে প্রতি এক হাজার পুরুষ পিছু মহিলা ভোটারের সংখ্যা ছিল ৯৪৫, সেখানে এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ৯৪৭। আশা করি, আগামী বছর এই সংখ্যাটা ৯৫০ ছাড়িয়ে যাবে।” প্রতি বছরের মতো এ বছরও ২৫ জানুয়ারি জাতীয় ভোটার দিবস উদ্যাপন করা হবে। এ বার যেহেতু ২৫ জানুয়ারি রবিবার, ছুটির দিন, তাই সরকারি নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবারই সমস্ত সরকারি অফিসে কর্তা-কর্মীরা শপথবাক্য পাঠ করেন।
তবে, মহিলা ভোটার বৃদ্ধিটা ইতিবাচক দিক বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গত ৫ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে এ বারের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, গত বছর জেলায় যেখানে ভোটার সংখ্যা ছিল ৪০ লক্ষ ৮২ হাজার ৮৬৯, সেখানে এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ৪১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৯৩১। এর মধ্যে তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী ভোটারের সংখ্যাই সবথেকে বেশি, ১১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৬৪৪। জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রতি এক হাজার পুরুষ পিছু মহিলা ভোটারের সংখ্যা ছিল ৯৩৬। ২০১৪ সালে ৯৪৫। এ বার তাই বেড়ে হয়েছে ৯৪৭। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে নানা কর্মসূচি হয়। এই সব কর্মসূচির ফলেই মহিলাদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে উঠছে। ভোটার তালিকায় এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে এখন প্রতি এক হাজার পুরুষ পিছু মহিলার সংখ্যা ৯৫২। ভোটারের ক্ষেত্রেও এই অনুপাতে পৌঁছনোর সব রকম চেষ্টা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy