হলদিয়া টাউনশিপের বাস টার্মিনাস। ছবি: আরিফ ইকবাল খান।
দীর্ঘ দিন ধরে হলদিয়া টাউনশিপের বাস টার্মিনাস বেহাল থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ যাত্রী থেকে বাস কর্মীদের। পানীয় জল থেকে শৌচালয়, বিশ্রামাগার, আলো সব কিছুরই সমস্যা রয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। টার্মিনাসের ভেতরে মোরাম বিছানো থাকায় বৃষ্টি হলেই সেখানে কাদা জমে যায়, বলছেন যাত্রীরা। এমনই নানা পরিকাঠামো গত সমস্যায় দুর্ভোগে পড়ছেন সকলে।
বাস ব্যবসায়ী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া টাউনশিপের এই বাস টার্মিনাস থেকে দিনে গড়ে পৌনে দু’শো বাস পূর্ব মেদিনীপুর ও পাশের জেলাগুলিতে যাতায়াত করে। এই বাস পরিষেবায় ৫০০ থেকে ৬০০ কর্মী যুক্ত আছেন। তা ছাড়াও এই টার্মিনাস হয়ে গড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ডের বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ যাত্রী থেকে বাসকর্মীরা। কেমন?
বাসযাত্রী হলদিয়ার বাসিন্দা সুজয় মণ্ডল, শুভ সরকারেরা বলছেন, ‘‘এখানে বসার মত ভাল বিশ্রামাগার নেই। অনেক আগে এখানে ছোট একটি বিশ্রামাগার করা হয়েছিল। কিন্তু, সেটি বেহাল। কেউই বসতে চান না।” এই অবস্থায় কেউ বাসের উপরে, কেউবা গাছতলায় দাড়ান। অনেকেরই অভিযোগ, টার্মিনাসে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। তাঁরা বাধ্য হয়ে টিউবয়েলের অস্বাস্থ্যকর জল খান। নাকে রুমাল চেপে শৌচালয়ে ঢুকতে হয়। তা ছাড়াও টার্মিনাস চত্বরে ভাল আলোর ব্যবস্থা নেই। রাতের বেলায় আলো কম থাকায় আলোআঁধারি পরিবেশ তৈরি হয়।
জেলা বাস ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মহম্মদ সামসেল আরেফিনের কথায়, হলদিয়া টাউনশিপের এই বাস টার্মিনাস নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সমস্যা রয়েছে। বাসের কর্মীদের খোলা জায়গায় ওভার হেড রিজারভারের জলে স্নান করতে হয়। পর্যাপ্ত আলোও নেই। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার বেরাও বলছেন, “হলদিয়ার মত শিল্পশহরে ভাল বাস টার্মিনাস নেই। এটা খুবই সমস্যার।” এঁদের সঙ্গে সহমত বাসের কর্মী তপন সামন্ত, নজরুল ইসলামরা। বাসস্টান্ডে মোরামের প্রলেপ উঠে গিয়েছে।
তবে আশার কথা শুনিয়েছেন হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ মণ্ডল। তিনি জানান, পুরসভার পক্ষ থেকে অত্যাধুনিক বাস টার্মিনাস গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে হলদিয়া বন্দরের থেকে ভাড়ায় বাস টার্মিনাস চলছে। পুরসভা ওই জমি বন্দরের থেকে লিজচুক্তিতে নিয়ে অত্যাধুনিক বাস টার্মিনাস তৈরি করবে। তাঁর আশ্বাস, দ্রুত এই কাজ শুরু হবে।
সেই আশাতেই দিন গুনছেন বাসযাত্রী-কর্মীরা!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy