নব কলেবরে।—নিজস্ব চিত্র
সময়টা ১৯৭২ সাল। সকালে বাড়ি থেকে স্কুলে যাচ্ছিল এক ছাত্র। পথে তিনজনের সঙ্গে দেখা। ওই তিন জন ছাত্রটির কাছে পাথরা যাওয়ার রাস্তা জানতে চাইলেন। কিশোর বলল, “চলুন আমি আপনাদের সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছি।” স্কুলের পথ ছেড়ে সে চলল পাথরার জীর্ণ মন্দির দেখাতে। সেই শুরু। সে দিন পাথরায় যাওয়া ওই তিন জনের একজন ছিলেন পুরাত্তত্ব বিশারদ তারাপদ সাঁতরা। মূলত তাঁর উৎসাহেই ওই স্কুলছাত্র ইয়াসিন পাঠান আগ্রহী হয়ে ওঠে মন্দিরগুলির সংরক্ষণ কাজে। তারপর ইয়াসিনের দীর্ঘ ২৫ বছরের লড়াইয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ কেন্দ্রীয় পুরাতত্ত্ব দফতর পাথরার মন্দির সংরক্ষণে তৎপর হয়।
পাথরার সেই ৩৪টি মন্দিরের ইতিহাস ও কাহিনি নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘মন্দিরময় পাথরার ইতিবৃত্ত’-র পরিবর্তিত সংস্করণ। আগেও এই বইটি প্রকাশিত হয়েছিল। এ বার তাকে আরও পরিমার্জিত করে নতুন আঙ্গিকে লিখেছেন ইয়াসিন। সঙ্গে প্রচুর রঙিন ছবি আর মন্দিরগুলির বিশদ বিবরণ। পাথরার মন্দিরগুলি যে সব পরিবারের, রয়েছে তাদের পরিচিতি। পাথরা নিয়ে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন নিবন্ধও আছে। বইয়ে পাথরার মন্দিরগুলির সংরক্ষণে প্রায় সারা জীবনের লড়াইয়ের কথা নিজের কলমে জানিয়েছেন ইয়াসিন। তখন কেউ তাঁকে বলত কাফের, আবার কেউ বলত পাগল। ইয়াসিন অবশ্য পাথরার সঙ্গ ছাড়েননি। হৃদ্যন্ত্র আর কিডনির নানা সমস্যা নিয়ে বাষট্টি বছর বয়সেও পাথরার প্রতি ইয়াসিনের ভালবাসা আর উদ্যম অটুট।
মৃত ছাত্র। মিনি ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক কিশোরের। সোমবার রাতে ঘাটাল থানার রানিরবাজারে এই দুর্ঘটনায় মৃতের নাম শুভজিৎ মণ্ডল (১৭)। তার বাড়ি মুগরালে। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয়রা ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। একাদশ শ্রেণির ছাত্র শুভজিৎ পারিবারিক কাজ সেরে হেঁটেই বাড়ি ফিরছিল। চন্দ্রকোনাগামী ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শুভজিতের। পুলিশ গাড়িটিকে আটক করেছে। গাড়ির চালক ও খালাসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy