মুট কোর্ট প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে শ্যামল সেন। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ
পুলিশি ব্যবস্থায় গাফিলতি থাকলে সংবাদমাধ্যমে নিশ্চয়ই লেখা উচিত। কিন্তু যা লেখা হচ্ছে তা সঠিক কি না বিচার করে নিতে হবে। শুক্রবার খড়্গপুর আইআইটিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনই মন্তব্য করলেন হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্যামল সেন। এ দিন আইআইটি-র আইন স্কুল আয়োজিত আদালতের বাদানুবাদ (মুট কোর্ট) নিয়ে প্রথম জাতীয় প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে এসেছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইআইটি-র ডিরেক্টর পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী, বিভাগের ডিন কুশল ভিভুতে প্রমুখ।
খড়্গপুর আইআইটিতে প্রযুক্তির ব্যবহারিক ক্ষেত্রে আইনের প্রয়োজনীয়তায় ২০০৬ সালে আইন স্কুল খোলা হয়। ১১৩ জন পড়ুয়া এখানে পড়তে পারেন। এই আইন স্কুল আয়োজিত প্রথম ‘মুট কোর্ট’ প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন আইন কলেজ, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ুয়ারা যোগ দিয়েছেন। সাংবিধানিক আইন, জীব বৈচিত্র্য আইন-সহ নানা বিষয়ে বিতর্কে যোগ দিচ্ছে ২৪টি দল। প্রতিযোগিতার শেষ দিনে হবে পুরস্কার বিতরণ। অনুষ্ঠানে দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীরের উপস্থিত থাকার কথা।
এ দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদীপ জ্বালানোর পরে একটি ‘নিউজ লেটার’ প্রকাশ করেন শ্যামল সেন। পরে তিনি বলেন, “অনেকে বিশ্বাস করতে পারেন না এখানে একটি আইন স্কুল রয়েছে। আইন ও প্রযুক্তির সহাবস্থানে ভরা এই স্কুলের পড়ুয়ারা দক্ষ আইনজ্ঞ হবেন বলে আমার ধারণা।” \
এই ‘মুট কোর্টে’ বধূ নির্যাতনের মতো পারিবারিক সমস্যা, অফিসে যৌন হেনস্থা, শিক্ষাক্ষেত্রে সমস্যা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে পরামর্শ দেন শ্যামলবাবু। তখনই তিনি বলেন, “এই ধরনের সাম্প্রতিক বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এখন অনেক সংবাদমাধ্যমে লেখা হচ্ছে। সেগুলি নিয়ে মুট কোর্টে আলোচনা করা যেতে পারে।”
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পুলিশি ব্যবস্থায় কোথাও গাফিলতি থাকলে নিশ্চয়ই লেখা উচিত। কিন্তু তা সব ক্ষেত্রে সঠিক কি না সেটা বিচার করে দেখতে হবে।” সারদা-কাণ্ডে শ্যামল সেন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি যা করার করে দিয়েছি। ৫ লক্ষ লোকের টাকা ফেরতের বন্দোবস্ত হয়েছে। এরপর কী হয়েছে বলতে পারব না।” এ দিন আইআইটি ডিরেক্টর পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের এই প্রতিষ্ঠান থেকে ইঞ্জিনিয়ার ছাড়াও ডাক্তার, আমলা, রাজনীতিবিদ হয়েছেন। তাই আইনজীবী তৈরি করতে আমরা আইন স্কুল খুলেছিলাম। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকস্তরে এখান থেকে পাশ করে অনেকেই আইনজীবীও হয়েছেন। আমার আশা এখান থেকেই ভবিষ্যতে একজন বিচারকও পাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy