বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কোন্দল চলছেই। মঙ্গলবার টিএমসিপি পরিচালিত ছাত্র সংসদের এক বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মিছিল বেরোয়। বৈঠক-মিছিলে ছাত্র সংসদের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর সদস্যরাই যোগ দেন। বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর সদস্যরা সামিল হননি বলেই সংগঠন সূত্রে খবর। ঘটনার জেরে জেলা টিএমসিপি নেতৃত্বও বিড়ম্বনায় পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে গোষ্ঠী কোন্দলের আবহেই ছাত্র সংসদ গঠন হয়েছিল। এক মাস পেরোনোর আগে ফের টিএমসিপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সংসদের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় টিএমসিপিরই এক গোষ্ঠী। বিশ্ববিদ্যালয়ে একদিকে রয়েছেন ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ সরকার ও তাঁর অনুগামীরা। অন্য দিকে, রয়েছেন টিএমসিপির বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সভাপতি তথা সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি বিশ্বনাথ দাস ও তাঁর অনুগামীরা। বিবাদ মেটাতে ইতিমধ্যে দুই ছাত্র নেতাকে নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব আলোচনা করেছেন। তবে, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি বলেই দলীয় সূত্রে খবর। সংসদের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাতে ৭২ জন নির্বাচিত ছাত্রছাত্রীর সই রয়েছে। যেখানে ছাত্র সংসদের মোট আসন সংখ্যা ১৪৫টি। ৪টি আসনে অবশ্য ভোটগ্রহণ হয়নি। এ দিন স্বদেশ বলেন, “সংসদের বিরুদ্ধে কুৎসা-অপপ্রচার হচ্ছে। মিছিলে ছাত্রছাত্রীরা তারই প্রতিবাদ করেছেন। যাঁরা অনাস্থা- চিঠিতে সই করেছিলেন, তাঁদের অনেকেও বৈঠক- মিছিলে ছিলেন। এর থেকেই প্রমাণিত, সংসদ ঠিক পথেই চলছে।” জবাবে বিশ্বনাথ বলেন, “মিথ্যে কথা। যাঁরা অনাস্থা- চিঠিতে সই করেছিলেন, তাঁদের কেউই বৈঠক-মিছিলে ছিলেন না। শুনেছি, নির্বাচিত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ৩০- ৩২ জন বৈঠকে ছিলেন!” টিএমসিপির জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি অবশ্য এই দুই দাবির প্রেক্ষিতে এদিন কোনও মন্তব্যই করতে রাজি হননি। তবে তাঁর দাবি, “বিশ্ববিদ্যালয়ে গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও ব্যাপার নেই!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy