Advertisement
১৮ মে ২০২৪

হুমকি ফোন, দুই দুষ্কৃতী ধৃত খড়্গপুর থেকে

বিদ্যুত্‌ উত্‌পাদনকারী সংস্থায় টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হল দুই দুষ্কৃতী। শনিবার রাতে খড়্গপুর গ্রামীণ পুলিশ ও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের যৌথ অভিযানে ওই দু’জনকে ইন্দা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মেদিনীপুর আদালতে নন্দ।—নিজস্ব চিত্র।

মেদিনীপুর আদালতে নন্দ।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৪ ০৭:৫৬
Share: Save:

বিদ্যুত্‌ উত্‌পাদনকারী সংস্থায় টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হল দুই দুষ্কৃতী। শনিবার রাতে খড়্গপুর গ্রামীণ পুলিশ ও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের যৌথ অভিযানে ওই দু’জনকে ইন্দা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত নন্দ দাস ও তার সঙ্গী শুভজিত ভট্টাচার্যকে রবিবার মেদিনীপুর জেলা আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক দু’জনকেই ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখর বলেন, “দিন দশেক আগে বিদ্যুত্‌ উত্‌পাদনকারী ওই সংস্থার তরফে অভিযোগ পেয়ে আমাদের এসওজি সেল তদন্ত নামে। পরে ওই সংস্থাই মামলা করে। তারপর খড়্গপুর গ্রামীণ থানার তত্‌পরতায় ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা গিয়েছে।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আদতে বেনাপুরের বাসিন্দা নন্দের বিরুদ্ধে আগেও নানা দুষ্কর্মের অভিযোগ উঠেছে। বছর কুড়ি ধরে খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকার বেনাপুরে ডাকাতি, ছিনতাই, তোলা আদায়-সহ নানা ঘটনায় গ্রেফতারও হয়েছে নন্দ। এমনকী অস্ত্র আইনেও গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। তবে বেশি দিন আটকে রাখা যায়নি। নন্দ এখন খড়্গপুর শহরের ইন্দা এলাকায় থাকে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। ইদানীং সে গাড়ির ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা শুরু করেছিল। নামে-বেনামে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বেশ কিছু কারখানাতেও তার গাড়ি ভাড়ায় চলে বলে খবর। ব্যবসা করলেও দুষ্কর্মে দাঁড়ি পড়েনি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়্গপুর গ্রামীণের ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রামপুরা ও ডাকুয়া এলাকায় একটি বিদ্যুত্‌ উপাদন সংস্থার প্রকল্প রয়েছে। দিন দশেক আগে সংস্থার ডিরেক্টর নবীন মহেশ্বরী ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব মহেশ্বরীর কাছে হুমকি ফোন ও এসএমএস আসে। মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়। সংস্থার তরফে পুলিশের ওপর মহলে বিষয়টি জানানো হয়। যে মোবাইল থেকে হুমকি ফোন ও এসএমস এসেছিল, খতিয়ে দেখা যায় তার নম্বর খড়্গপুর এলাকার। এরপরই খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ তদন্ত শুরু করে। মোবাইলের সূত্র ধরে নন্দ দাস তার সঙ্গী শুভজিতের নাম পায় পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় সংস্থার পক্ষ থেকে আইনজীবী মারফত খড়্গপুর গ্রামীণ থানায় অভিযোগ জানানো হয়। রাত ১০টা নাগাদ খড়্গপুরের ইন্দা থেকেই দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সংস্থাটির জেনারেল ম্যানেজার রামদয়াল তিওয়ারি বলেন, “আমাদের ডিরেক্টর ও এমডি-র কাছে টাকা চেয়ে ফোন ও এসএমএস এসেছিল। তারপরই পুলিশে জানানো হয়। লিগ্যাল সেলের তরফে অভিযোগও দায়ের করা হয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE