Advertisement
০৫ মে ২০২৪
ED & Sujit Bose

‘আমার নাম বলতে প্রাক্তন আপ্তসহায়ককে চাপ দিচ্ছে ইডি’! অভিযোগ রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর

শুক্রবার ইডি গ্রেফতার করেছে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। শনিবার দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু অভিযোগ করলেন, তাঁর নাম বলিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁরই প্রাক্তন আপ্তসহায়ককে চাপ দিচ্ছে ইডি।

Minister Sujit Bose alleges that ED forcing his Ex PA to put his name in Municipal Recruitment Case

দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:০৫
Share: Save:

বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর দিনই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন রাজ্যের আর এক মন্ত্রী সুজিত বসু। শনিবার লেকটাউনের এক পথসভায় দমকলমন্ত্রী সুজিতের দাবি, তাঁর নাম বলিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁরই প্রাক্তন আপ্তসহায়ককে চাপ দিচ্ছেন ইডি আধিকারিকের।

পথসভায় সুজিত বলেন, ‘‘নিতাই আমার আপ্তসহায়ক ছিল। প্রথম বার কাউন্সিলর হয়েছে, এখন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছে। ওর বাড়িতে গিয়ে ১২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি করেছে, কিছুই পায়নি। তার পর এখন আমার নাম বলার জন্য ওর ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘শুধু বলছে সুজিত বসুর নামটা বলে দাও, লিখে দাও, তোমাকে ছেড়ে দেব। এটা কী ধরনের অত্যাচার!’’

পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে পুজোর আগেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্তের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। প্রায় ১২ ঘণ্টা তাঁর বাড়িতে থেকে নিতাইকে জেরা করেছিলেন ইডির আধিকারিকেরা। শনিবার সেই প্রসঙ্গ টেনেই ইডির বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হয়েছেন বিধাননগর বিধায়ক। সুজিত নিজেও দীর্ঘ দিন দক্ষিণ দমদম পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। পরে ভাইস চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন। বিধাননগরের বিধায়ক হওয়ার পরও দীর্ঘ দিন সেই পদে ছিলেন তিনি। পরে রাজ্যের দমকলমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর পুরসভার পদ ছেড়ে দেন সুজিত।

সুজিত দক্ষিণ দমদমের ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন তাঁর আপ্তসহায়ক ছিলেন নিতাই। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পুরভোটে পুরসভার ভোটে জিতে নিতাই নিজেই এখন ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন। সেই নিতাইয়ের বাড়িতে ইডি হানা নিয়েই সরব হয়েছেন সুজিত। ইডির এমন আচরণের কারণ প্রসঙ্গে দমকলমন্ত্রী বলেন, ‘‘ঠিক যে সময় ১০০ দিনের কাজের টাকার বকেয়া নিয়ে আন্দোলন জোর হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কেন্দ্রকে চাপে ফেলছেন, তখনই বিজেপি চাইছে এজেন্সির মাধ্যমে আমাদের নেতাদের ধরপাকড় করে আন্দোলনকে ব্যাহত করতে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE