প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে একাই ছিল বছর পনেরোর সোমা সিংহ। সন্ধ্যায় কাজ সেরে ফিরে ঘর অন্ধকার দেখে মা ভেবেছিলেন, মেয়ে ঘুমোচ্ছে। আলো জ্বালতেই দেখেন, বিছানায় পড়ে মেয়ে। কপালে ক্ষত। পাশে চাপচাপ রক্ত। প্রাণ আছে বুঝেই চিৎকার শুরু করেন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি কালনার সিঙেরকোণ এলাকার ওই কিশোরী।
গত পাঁচ মাসে কালনা, মেমারি, মন্তেশ্বরে বাড়িতে একা থাকা পাঁচ মহিলা খুন হয়েছেন। খুনের চেষ্টা হয়েছে আরও দু’জনকে। প্রথম কয়েকটি ঘটনায় মহিলার গলায় গামছা বা শাড়ি পেঁচিয়ে দেওয়া ছিল। শেষ তিনটি খুনে নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। বৃহস্পতিবারের ঘটনাতেও সেই ছায়া দেখছে পুলিশ। যদিও কী ভাবে খুন হচ্ছে, একা থাকার খবর পৌঁছচ্ছে কী ভাবে তার হদিস মেলেনি। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈকত ঘোষ বলেন, ‘‘সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে।’’
সোমার মা গায়ত্রী সিংহের অভিযোগ, বাড়িতে রাখা অল্প কিছু সোনার গয়না উধাও। যে বঁটিটা তিনি রান্নাঘরে রেখে গিয়েছিলেন, সেটি বারান্দায় পড়ে ছিল। পুলিশ জানায়, এতদিন ‘শিকারে’র যে বয়স ছিল সোমার বয়স তাঁদের থেকে অনেকটাই কম। স্থানীয় স্কুল থেকে এ বার মাধ্যমিকে বসার কথা তার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy