বিধানসভায় কমল সাসপেনশনের মেয়াদ। — ফাইল চিত্র।
দিনের পর দিন আর সাসপেন্ড রাখা যাবে না কোনও বিধায়ককে। এই মর্মেই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। সর্বাধিক ১ মাস সাসপেন্ড থাকতে পারবেন বিধায়ক। সম্প্রতি এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বিধানসভার রুল কমিটিতে। গত বৃহস্পতিবার বিধানসভার রুল কমিটির বৈঠক হয়। সেখানেই এই বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোনও বিধায়কের সাসপেনশনের মেয়াদ ১ মাসের বেশি হতে পারবে না।’’ এই কমিটির চেয়ারম্যান বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনিও। তাই মনে করা হচ্ছে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
গত বছর বাজেট অধিবেশন ২ দফায় বিজেপির ৬ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছিলেন স্পিকার। তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বক্তৃতার সময় বাধা দানের অভিযোগে প্রথমে সাসপেন্ড করা হয় বিজেপির বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে। পরে বিধানসভার অন্দরে মারামারির ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ আরও ৪ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালত এ বিষয়ে দু’পক্ষকেই আলাপ-আলোচনা করে দিল্লিতে মিটিয়ে নিতে বলেন। শেষমেশ বিজেপি পরিষদীয় দলের আবেদনের ভিত্তিতে স্পিকার ৬ বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন উঠে যায়। গত এক বছরে বিধানসভায় শাসক-বিরোধী চাপান-উতোর হলেও, স্পিকার কোনও পক্ষকেই আর সাসপেনশনের পথ দেখাননি। তাই মনে করা হচ্ছে, কোনও বিধায়কের বিধানসভায় বিষয় নিয়ে আদালতে যাওয়ার প্রবণতা কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
অন্য দিকে, বিধানসভার কমিটিগুলিতে মন্ত্রীদের আর রাখা হচ্ছে না। বিধানসভায় মোট ৪১টি কমিটি রয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি হল স্ট্যান্ডিং কমিটি এবং অ্যাসেম্বলি কমিটি ১৫টি। মন্ত্রীদের প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই কমিটিতে তাঁদের না-রাখারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy