বেলঘরিয়ার ১৭ পল্লির বাসিন্দা, প্রৌঢ়া শুক্লা ভট্টাচার্যের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির পিছনে সেপটিক ট্যাঙ্কের উপরে তাঁর জ্বলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় এক বছর ধরে শুক্লাদেবী থাকতেন তাঁর ছোট মেয়ে দেবাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। শুক্রবার প্রৌঢ়ার জামাই অলোকেশ চট্টোপাধ্যায় জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁরা তাঁদের ৪৫ দিনের মেয়েকে নিয়ে শ্যামবাজারে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। বাড়িতে একাই ছিলেন শুক্লাদেবী। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে দেবাঞ্জনা তাঁর মাকে চা করে দিয়ে যান। মেয়ে-জামাই বেরিয়ে যাওয়ার পরে সদর দরজাও বন্ধ করে দেন ওই প্রৌঢ়া।
এ দিন অলোকেশ বলেন, ‘‘কোনও কারণই বুঝতে পারছি না। যদি আত্মহত্যাই করবেন, তা হলে তো ঘরেই করতে পারতেন। বাড়ির পিছনে সেপটিক ট্যাঙ্কের উপরে যাবেন কেন? আর কেনই বা উনি এমন করবেন?’ অলোকেশ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে শুক্লাদেবী নিজেই পুজোর জন্য মিষ্টি কিনে এনেছিলেন। তবে দেবাঞ্জনার আক্ষেপ, সর্বত্রই তাঁদের সঙ্গে যেতেন মা। কিন্তু ওই দিনই তিনি একা ছিলেন। দেবাঞ্জনা বলেন, ‘‘কেন যে মাকে নিয়ে গেলাম না।’’ পুলিশ জানায়, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy