Advertisement
০২ মে ২০২৪
TET

তীব্র যানজট, টেট পরীক্ষার্থী ছেলেকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের দিকে দৌড় বাবার

শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী ছেলে টেট পরীক্ষার্থী। তাঁকে নিয়ে গাড়িভাড়া করে বেরিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু তীব্র যানজটে নাকাল হয়ে ছেলেকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে দৌড়লেন তিনি।

ছেলেকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে নিয়ে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দৌড়লেন বাবা।

ছেলেকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে নিয়ে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দৌড়লেন বাবা। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৫:৩৬
Share: Save:

প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ আয়োজিত টেট হল রাজ্য জুড়ে। রবিবার সকাল থেকেই স্টেশন-রাস্তায় ভিড়। সেই ভিড়ের মধ্যেই উঠে এল একটি অন্য রকম ছবি। যানজটে গাড়ি আটকে পড়ায় প্রতিবন্ধী পরিক্ষার্থীকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের দিকে ছুটলেন বাবা।

রবিবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলের শিবনগর এলাকা থেকে বহরমপুরের শাহজাদপুরে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থী রবিউল ইসলাম। সকালে হুইলচেয়ার সমেত গাড়ি ভাড়া করে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন বহরমপুর চুয়াপুর মোড়ে। কিন্তু সেখানে তখন তীব্র যানজট। ঘড়িতে বার বার চোখ যাচ্ছে। সময় গড়াচ্ছে। কিন্তু সামনের গাড়ি নড়ার কোনও লক্ষণ নেই। কোনও উপায়ান্ত না দেখে চাকরিপ্রার্থী ছেলেকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে দু’হাত দিয়ে ঠেলতে ঠেলতে রাস্তা দিয়ে ছুটলেন বাবা। গন্তব্য, সরবাগান উচ্চ বিদ্যালয়। এই ভাবে টানা আড়াই কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী সেতু পেরিয়েছিলেন রবিউল ও তাঁর বাবা। সেখানে এক সহৃদয় ব্যক্তির সহায়তায় ছেলেকে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছন বাবা।

একে পরীক্ষার টেনশন তার উপর তাঁকে নিয়ে বাবার এই ভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো নিয়ে রবিউলের বলেন, ‘‘প্রথম বার টেট দিচ্ছি। টেনশন তো আছেই। তার পর বাবা যে ভাবে আমাকে নিয়ে এল অন্তত তার জন্য এ বারের পরীক্ষাটা পাশ করতে চাই।’’

রবিউলের বাবা লুৎফর রহমানের তখন কথা বলার সময় নেই। তাঁর ছোট্ট প্রতিক্রিয়া, ‘‘এত লম্বা যানজটে সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। গাড়ির অপেক্ষায় বসে থাকলে চলবে না। তাই এ ভাবেই এলাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TET wheelchair Murshidabad
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE