ভোগান্তির যেন শেষ নেই!
শুরু হয়েছিল সেই ৮ নভেম্বরে। তারপর ধীরে ধীরে সারা দেশে পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। কিন্তু ডোমকল আছে ডোমকলেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ডোমকল এখনও সেই নভেম্বরেই আটকে আছে। তখনও যেমন এটিএমে টাকা মিলত না। এখনও তাই।
সোমবারেও ডোমকলের বেশির ভাগ এটিএমে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে লোকজনকে। গ্রাহকদের অভিযোগ, এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গোটা চারেক এটিএম ছাড়া বাকি এটিএমগুলো সেই ৮ নভেম্বর থেকে বন্ধ। কোথাও ঝাঁপ অর্ধেক নামানো, কোথাও এটিএম খোলা থাকলেও টাকার
দেখা মেলেনি।
ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, এ দিন টাকার জোগান না থাকার ফলে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে আজ, মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ডোমকলের ইসলামপুর, জলঙ্গি, রানিনগর এলাকাতেও ভোগান্তির ছবিটা কমবেশি একই রকম। ইসলামপুরের একাধিক এটিএম কাউন্টারে লিখে দেওয়া হয়েছে ‘নো ক্যাশ’। গোয়াসের বাসিন্দা সাজ্জাদ আলি গত চার দিন থেকে টাকার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন। ব্যাঙ্কে গিয়েও তিনি লম্বা লাইন দেখে ফিরে এসেছেন। সাজ্জাদের প্রশ্ন, ‘‘এই ভোগান্তি আর সহ্য করা যাচ্ছে না। এর থেকে মুক্তি মিলবে কবে?’’
চিকিৎসার জন্য ভিন রাজ্যে যাওয়ার কথা ছিল ডোমকলের কাদের মণ্ডলের। ট্রেনের টিকিটও কেটেছিলেন অনেক আগে। ভেবেছিলেন, টাকার সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু সোমবারেও তিনি টাকা তুলতে পারেননি। বাধ্য হয়েছেন টিকিট বাতিল করতে। তাঁর কথায়, ‘‘গোটা দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। কিন্তু ডোমকলেই দেখছি কোনও পরিবর্তন নেই।’’
জেলার লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অমিত সিংহ বলেন, ‘টাকা না পাওয়া নিয়ে কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে অসেনি। তবে সোমবার জেলার বিভিন্ন ব্যাঙ্কে টাকা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, আজ মঙ্গলবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy