তাপস রায়
হবিবপুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল বিজেপি-র রানাঘাট ১ ব্লক সভাপতি তাপস রায়কে। মঙ্গলবার রাতে রানাঘাটের আঁইশতলা এলাকা থেকে ধরা পড়েন হবিবপুরের বাসিন্দা তাপস। বুধবার তাঁকে রানাঘাট আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক এক দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
অভিযোগ, দিন কয়েক আগে হবিবপুরে বাস পোড়ানো ও পুলিশের বিরুদ্ধে লোকজনকে উসকেছিলেন তাপস। নদিয়ার পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, ‘‘হবিবপুরের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
বিজেপি অবশ্য এই ঘটনায় রাজনীতি দেখছে। তাদের দাবি, তৃণমূল পুলিশকে ব্যবহার করে মিথ্যে মামলায় তাঁদের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসাচ্ছে। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, পুলিশ পুলিশের কাজই করছে। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর অভিযোগে চাকদহ থেকে এক বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ দিন তাপস ধরা পড়ার পরেই আন্দোলনে নামে বিজেপি। বিজেপি-র নদিয়া জেলা সভাপতি আশুতোষ পাল বলেন, “কালনায় গণপিটুনিতে মারা যান হবিবপুরের এক বাসিন্দা। সেই ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ পথে নেমেছিলেন। অথচ পুলিশ এখন নির্দোষদের গ্রেফতার করছে। তাঁদের মুক্তির দাবি জানিয়ে থানার সামনে আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি।’’
হবিবপুরের পাঁচ ব্যক্তি শুক্রবার কালনায় যান কাজের খোঁজে। ছেলেধরা সন্দেহে তাঁদের মারধর করা হয়। গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় অনিল বিশ্বাসের। প্রতিবাদে শনিবার হবিবপুর মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বাসিন্দারা। অবরোধ চলার সময় কালনাঘাট-রানাঘাট রুটের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় এর আগে আট জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সম্প্রতি সোশ্যাল নেটওয়ার্কে চুরি-ডাকাতি-ছেলেধরা-জঙ্গি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছিল। তার ফলে স্রেফ সন্দেহের বশে গণপিটুনির শিকার হচ্ছিলেন অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy