বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় এ বার তদন্তে নামল সিআইডি। বুধবার সিআইডি এই তদন্তভার নেয়। গত ৮ অগস্ট রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ক্রেতা সেজে বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক-সহ সুতি থানা এলাকার দুই ব্যক্তি আক্তার ও রফিকুলকে গ্রেফতার করে। পরে সুতি থেকেই ধরা পড়ে সেন্টু শেখ নামে আরও একজন। সকলেই বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক বিক্রির কারবারি বলে এলাকায় পরিচিত।
গত ১৪ অগস্ট তাদের জেরা করে কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডের এক ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির দুই কর্মী পঙ্কজ ঘোড়াই ও রাজীব দাসকে গ্রেফতার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। তাদের বাড়ি ওড়িশায়। ১৬ অগস্ট ওই ট্রান্সপোর্টের গুদাম থেকে তদন্তকারী অফিসার সোমনাথ দত্তের নেতৃত্বে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক উদ্ধার করে রঘুনাথগঞ্জ পুলিশ। সেই থেকেই ধৃতদের চার জন রঘুনাথগঞ্জ থানায় পুলিশ হেফাজতে ছিল। মামলার তদন্ত করছিল রঘুনাথগঞ্জ পুলিশ। বুধবার দুপুরে কলকাতা থেকে সিআইডির অফিসাররা রঘুনাথগঞ্জ থানায় আসেন। তদন্তকারী অফিসারের থেকে এই মামলার যাবতীয় নথিপত্র বুঝে নেন।
রঘুনাথগঞ্জ পুলিশের হেফাজতে থাকা চার জনকেই এ দিন সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বুধবারই সিআইডি এই মামলার জেলবন্দি সেন্টু শেখকে ১৪ দিনের জন্যে হেফাজতে চেয়ে জঙ্গিপুর আদালতে আর্জি জানায়। আদালত দশ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, ‘‘জেলা পুলিশ এই মামলায় যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছে। এখনও পর্যন্ত তদন্তে জানা গিয়েছে ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির সাহায্যে সুতির ধৃত কারবারিরা মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান, বীরভূমে রাসায়নিক বিক্রি করত।’’ তিনি জানান, এই কারবারে যুক্ত সুতির আরও তিন জন কাজু, রব্বুল ও লালচাঁদ শেখের নাম পেয়েছে জেলা পুলিশ। তারা অবশ্য এখনও অধরা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy