কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো’ পদযাত্রায় অধীর। রেজিনগরে। নিজস্ব চিত্র
‘অধীররঞ্জন চৌধুরী আপনার বাড়ির সামনে’। মাইকে এই ঘোষণা কানে যেতে ঘুম ভাঙল রেজিনগরের বাসিন্দাদের। রবিবার সাতসকালে ‘ভারত জোড়ো’ পদযাত্রা শুরু হয় মুর্শিদাবাদে। নেতৃত্বে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী। এ দিনের পদযাত্রা শেষে বহরমপুরের সাটুইয়ে একটি জনসভা করেন তিনি। সেই সভায় তিন প্রবীণ ব্যক্তি তাঁর কাছে বিভিন্ন ভাতার ব্যাপারে আবেদন করেন। অধীর তাঁদের বলেন, ‘‘ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ তৃণমূলের দাবি, ‘‘জনভিত্তি হারিয়ে অধীর নাটক করছেন।’’
এ দিন রেজিনগরের লোকনাথপুরে গিয়ে দেখা গেল, কংগ্রেস কর্মীরা পদযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর সেই জায়গায় পৌঁছলে শুরু হয় পদযাত্রা। লোকনাথপুর থেকে নারকেলবাড়ি ঘাট, সেখান থেকে গড়দুয়ারা হয়ে শক্তিপুরে শেষ হয় পদযাত্রা। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে কিছুক্ষণ চলার পর গ্রামীণ রাস্তা ধরে পদযাত্রা চলে। গাড়িতে ঝোলানো ফ্লেক্স। তাতে সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা বঢড়ার পাশাপাশি অধীরের ছবিও ছিল। এ দিনের পদযাত্রা ঘিরে কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক পদযাত্রায় শামিল হয়েছিলেন। ছিলেন বহু সাধারণ মানুষও। বর্ণাঢ্য পদযাত্রায় ছিল ঢাকের ব্যবস্থাও। ব্যান্ডপার্টির পাশাপাশি জনজাতি গোষ্ঠীভুক্ত মহিলাদের নৃত্যের আয়োজনও করা হয়। তেরঙা বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছিল গাড়ি। ছিল শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা। বহু জায়গায় অধীরকে দেখতে রাস্তার ধারে জড়ো হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অনেককে অধীরকে মালা পরিয়ে সংবর্ধিত করতেও দেখা যায়। তাঁর সঙ্গে একটিবার করমর্দন করতেও হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এক সময় পদযাত্রা পৌঁছয় ভাগীরথী নদীর তীরে। নারকেলবাড়ি ঘাট দিয়ে নদী পার হয়ে পদযাত্রা পৌঁছয় শক্তিপুরের গড়দুয়ারা ঘাটে। মানিক্যহার মোড়। সেখান দিয়ে পদযাত্রা বাজারসৌ, শক্তিপুর হয়ে কামনগরে পৌঁছয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy