প্রতীকী ছবি।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে সাতটি পুরসভার চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল কংগ্রেস। দু’টি পুরসভায় (বেলডাঙা ও জঙ্গিপুরে) বামেদের সঙ্গে তারা জোটের পথে হেঁটেছে। ধুলিয়ান, কান্দির মতো একাধিক পুরসভায় কয়েকটি আসনে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। রাজনীতির কারবারিদের একাংশের অনুমান, বাম প্রার্থীদের জয়ের পথ সুগম করতেই সেগুলিতে প্রার্থী দেওয়া হয়নি।
কান্দি-সহ একাধিক জায়গায় কংগ্রেসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা আগেই প্রকাশ হয়ে গিয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই সাত পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে ‘বিক্ষুব্ধ’ কিছু কংগ্রেস কর্মী নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তবে জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বুধবার ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে বলেন, “মান-অভিমান থেকে হয় তো তাঁরা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করাই যাক না।”
বহরমপুর পুরসভায় কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকার দিকে তাকিয়ে ছিলেন শহরবাসী। বিদায়ী বোর্ডের সাত কাউন্সিলর টিকিট পেয়েছেন। যদিও এঁদের মধ্যে কানাই রায় তৃণমূল থেকে আগের বার জিতেছিলেন। বিদায়ী পুরবোর্ডের সদস্য না হলেও দুই মহিলা প্রার্থী টুম্পা সরকার ও শুক্লা সরকারও কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর। বাকি ১৯ জনের প্রত্যেকে এ বারই প্রথম ভোটে লড়বেন। তালিকায় আছেন কংগ্রেসের শহর সভাপতি অরিন্দম দাস, শুভাঞ্জন সেনগুপ্ত, শ্রমিক নেতা ভাস্কর বাজপেয়ী। প্রার্থী তালিকায় স্বপন কর্মকার, রঞ্জিত সিংহ, মইনুদ্দিন ওরফে বাবলা চৌধুরীর মতো অভিজ্ঞদেরও নাম রয়েছে। জিতে বোর্ড গঠন করলে পুরপ্রধান কাকে করা হবে, তা নিয়ে খোলসা করে কিছু জানায়নি কংগ্রেস।
এর আগে প্রায় ১৮ বছর কংগ্রেসের হয়ে পুরপ্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন নীলরতন আঢ্য। এ বার ভোটে তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়বেন। বহরমপুরের সাত নম্বর ওয়ার্ডের ওই আসনে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে নতুন মুখ রাজকুমার সাহাকে। ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রাক্তন কাউন্সিলর সিঙ্ঘী ওরফে তপনকুমার বিশ্বাস লড়াই করবেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে বহরমপুরে প্রবল বিজেপি হাওয়ার মধ্যেও একমাত্র ওই ওয়ার্ডেই জিতেছিল তৃণমূল। তবে পুর নির্বাচনে ওই আসন নিজেদের দখলে নেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী কংগ্রেস। দলের প্রবীণ নেতারা এ দিন দাবি করেন, বহরমপুর পুরসভার পাশাপাশি জেলার অন্য পুরসভাগুলিতেও তারাই বোর্ড গঠন করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy