বিসর্জনে ভিড়। শান্তিপুরে। নিজস্ব চিত্র
করোনার সংক্রমণের তোয়াক্কা না-করে কালীপুজোর ভাসানে যথেষ্ট ভিড় দেখা গেল শান্তিপুরে। জনস্রোত নামল অদ্বৈতভূমির রাজপথে।
ভাসানের শোভাযাত্রায় যাতে জমায়েত না হয় তার জন্য প্রশাসন একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছিল। প্রচারও চলেছিল। কিন্তু সে সব কোনও কাজেই আসেনি বলে অভিযোগ। কোনও কিছুতে কান না-দিয়ে কালীপুজোর ভাসানে ভিড় করেছেন মানুষ। প্রশাসন ভিড় নিয়ন্ত্রণে অনেকাংশে ব্যর্থ বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রশাসনের নির্দেশ মেনেই রবিবার দুপুর থেকেই ভাসান শুরু হয়ে যায়। প্রতিমা ওঠানো-নামানোর জন্য যত মানুষ দরকার তাঁর বেশি যেন লোক না-হয় সেই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল আগেই। তা মেনেছেন অধিকাংশ উদ্যোক্তারাই। কিন্তু শান্তিপুরের বিভিন্ন পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জনের সময়ে আশপাশের বহু মানুষ শোভাযাত্রায় যোগ দেন। ভিড় বাড়ে।
শান্তিপুরের বিভিন্ন বিসর্জনের ঘাটেও ছিল মানুষের ঢল। সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জনের জন্য পথে নামলে জনস্রোত নামে রাজপথে। সেই স্রোতে উড়ে যায় যাবতীয় বিধি নিষেধ। অতিমারির আবহেও আর পাঁচটা বছরের সঙ্গে বিসর্জনের ভিড়ে এ বছরের কোনও ফারাক আর রইল না। এতে প্রশাসনের ভূমিকার পাশাপাশি মানুষের সচেতনতার অভাবকেও অনেকে দায়ী করেছেন।
শান্তিপুর সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি সুব্রত বিশ্বাস বলেন, “আবেগ দূরে সরিয়ে কঠিন সময়ে মানুষকে আরও সংযত হতে হবে।” শান্তিপুরের পুর-প্রশাসক অজয় দে-র কথায়, “প্রশাসন যাবতীয় ব্যবস্থা করেছিল। সকলেরই সদিচ্ছা ছিল। কিন্তু মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে।” পুলিশের তরফে এ ব্যাপারে কেউ মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy